Home -- Bengali -- Perform a PLAY -- 089 (Ringu at the bull race 1)
89. রিঙ্গু ষাড়ের দৌড়ে যুক্ত-১
ভারতের কোনো এক গ্রামে রিঙ্গু ষাঁড় সাজিয়ে দেয় আর তার পিতামাতা গাড়িতে চড়ে বসে।
রিঙ্গুঃ ‘বাতু, ছওয়ার হও, আমাদের যাবার সময় হলো।’
বাতুঃ ‘সাবাস, আমরা বাজারে যাচ্ছি।’
রিঙ্গুঃ ‘তারপরে আমরা ষাঁড়ের দৌড়ে অংশ নিব।’
বাতুঃ ‘রিঙ্গু, আমি বড়ই উৎসাহিত যাতে তুমি ষাঁড়ের দৌড়ে বিজয়ী হতে পারো।’
রিঙ্গু ভয় পাচ্ছিল, কেননা সে সবার আগে বসা ছিল আর ষাঁড়ের পরিচালনা করা তার দায়িত্বে ছিল।
রাস্তাটি জঙ্গলের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে। কেউ কেউ বলছে, উক্ত জঙ্গলে বাঘ থাকে, তাছাড়া মন্দ আত্মাও রয়েছে, ঐ পথে লুকিয়ে থাকে।
বাতুঃ ‘জোরে চালাও। রিঙ্গু আরো জোরে।’
রিঙ্গুঃ ‘আমি ভাবতেছি এ পথে কোনো বিদেশির সাক্ষাত ঘটে কিনা? তুমি তো জানো, সাদা চামড়ার সবচেয়ে লম্বা লোকটির বিষয়ে। যে কিনা সর্বদা একজন উত্তম খোদার বিষয়ে কথা বলে থাকে।’
শহরে অকারণে হৈহুল্লা ঠেলা-ঠেলি করে চলতে হয়। যখন তারা গাড়ি চালিয়ে শহরে ঢুকে পড়লো রিঙ্গুই সর্বপ্রথমে গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে নামলো।
রিঙ্গুঃ ‘উহঃ উহঃ আমার পা শেষ!’
তার পায়ের গোড়ালিতে একটা লম্বা কাটা বিধে গেল। সে তার দাঁতে দাঁত কামড়ে ধরলো কাটাটা বাহির করার সময়। তারপরে খুড়িয়ে খুড়িয়ে তার বাবা মায়ের কাছে আসলো। তার বাবা কেনাকাটা করছে আর সে ফাকে একটা কলা লুকিয়ে চুরি করে নিল। সে ভালোভাবেই জানে, যে কাজটি সে করেছে তা ঠিক কাজ হলো না, কিন্তু সে মনে করলো অন্যেরাও চুরি করে থাকে। তারা সুন্দর বাজনা শুনতে লাগলো। রিঙ্গুর মনে হচ্ছিল দৌড়ে কাছে লোকদের মধ্যে গিয়ে তা শুনতে। লোকটি তার হাতের সবগুলো কাগজ ছেড়ে দিল। উক্ত লোকটিই হলো সেই বিদেশি যার বিষয়ে রিঙ্গু ভাবছিল। রিঙ্গু দৌড়ে পালাতে গিয়ে সে ধরা খেল।
মিশনারীঃ ‘বন্ধু একটু অপেক্ষা করো, এ কাগজটি আমি তোমাকে দিতে চাই। এটা খোদার পক্ষ থেকে একটি চিঠি। এ পত্রে তোমার প্রতি তাঁর প্রেমের বিষয় জানতে পারবে।’
রিঙ্গু কাগজটি দ্রুত নিয়ে তার পাগড়ির মধ্যে রেখে দিল।
বাজনা থেমে গেল আর যে ভারতীয় উক্ত অর্গান বাজাচ্ছিল সে উঠে দাড়ালো।
পান্ডুঃ ‘আমার নাম পান্ডু। মন্দ আত্মার কাছে আমি প্রণতি দেই আর ষাঁড়ের কাছেও উপাষণা জানাই। কিন্তু জীবন্ত খোদার পরিচয় পেয়েছি তাই তার উপষণা করি। তিনি একমাত্র সত্য খোদা।’
রিঙ্গু এ কথাগুলো নিয়ে ভাবতে লাগলো। পরের দিন ড্রামের উচ্চধ্বনিতে তার ঘুম ভাঙ্গালো। তার ফুলে যাওয়া ও লাল হয়ে ওঠা পা দেখে ভয় পেয়ে গেল। তার পিতা তান্ত্রিক চিকিৎসক ডেকে এনেছে। রিঙ্গু তার সামনে ভয়ে কাপতে ছিল। সে ক্ষতস্থানে মরিচ ঢেলে দিল আর তার কানে ফুকে দিল। রিঙ্গু চিৎকার করে উঠলো।
রিঙ্গুঃ ‘উ! উ!’
কি করে কানে ফুৎকার ও মচির তাকে সাহায্য করবে?
দৌড় শুরু হয়ে গেল। রিঙ্গুর মারাত্মক ব্যাথা লাগছে। কিন্তু হাত দিয়ে কোমড় ধরে হাসতে চেষ্টা করলো।
(বন্দুকের গুলির শব্দ)
ষাঁড়ের দৌড় শুরু হলো। দর্শকবৃন্দ উল্লাস প্রকাশে উৎসাহিত করে চললো। ব্যাথা নিয়ে ষাঁড়ের পিছনে দৌড়াতে সে ব্যাথা পাচ্ছিল। সে পড়ে গেল তারপর...?
পরবর্তী নাটকে জানানো হবে তারপর যা হলো তা।
লোকবলঃ ভাষ্যকার, রিঙ্গু, বাটু, মিশনারী, পান্ড
© Copyright: CEF Germany