Home -- Bengali -- Perform a PLAY -- 012 (Joy that never leaves us)
12. অনন্তকাল জুড়ে বিজয়
রাতের আকাশ তারায় তারায় খচিত। শহর অন্ধকারে ঢাকা ছিল। খোলা ময়দানে মেষের রাখালেরা মেষের দেখাশুনা করছিল। এ কাজটি বড়ই কঠিন। কিন্তু তাদের কোনো অধিকার বলতে কিছুই ছিল না। তারা থাকতো অবহেলিত, যেমন চোর ডাকাত থাকে অবহেলিত অবস্থায়।
তাদের জন্য কোনো সাহায্যকারী বা মুক্তিদাতা বলে কিছু ছিল না? না তারা স্বাভাবিকভাবে নিজেদের ভাগ্য ও অবস্থান সমাজের নীচু লোকদের চেয়েও নীচু হিসেবে মেনে নিয়েছিল?
ক্লান্তদেহে তারা গাছের গোড়ায় হেলান দিয়ে রইছে। তারা সকলে সহসাপূর্ণ সজাগ হয়ে গেল। মধ্যরাতে আলোর ঝলকে সবকিছু উজ্জ্বল হয়ে গেল। তারা নিজেদের চোখে হাত রাখলো আলোর ক্ষিপ্রতা থেকে চোখ বাঁচাবার জন্য, ফলে তারা পরিষ্কারভাবে দেখতে পেলো। যা দেখলো তাতে তারা ভিষণ ভয় পেয়ে গেল। খোদার দূত একজন ফেরেশতা বেহেশত থেকে তাদের কাছে নেমে আসলেন। ভিতসন্ত্রস্থ রাখালের দল ফেরেশতার দিকে তাকিয়ে দেখল খোদার অদৃশ্য জগত থেকে তিনি নেমে এসেছেন।
ফেরেশতা: ‘ভয় পেয়োনা! আমি তোমাদের কাছে সুখবর বয়ে এনেছি যা বিশ্বের সকলের জন্যই আনন্দের কারণ হবে। দাউদের নগরে অদ্য জগতের নাজাতদাতার জন্ম হয়েছে; তিনিই মসিহ, তিনিই প্রভু। তোমাদের চিনে নেবার জন্য একটা চিহ্ন রেখে যাচ্ছি, কাপড়ে জড়ানো একটি শিশু যাবপাত্রে শোয়ানো দেখতে পাবে।’
ভিতসন্ত্রস্থ রাখালেরা মনোযোগসহ ঘোষণা শ্রবণ করলো। নাজাতদাতা! মহানন্দে তাদের হৃদয় ভরে গেল। খোদা তাদের ভুলে যান নি। তখন ফেরেশতাদের একটি দল সেখানে হাজির হলেন যারা খোদার প্রশংসা করছিলেন মসিহের অর্থাৎ নাজাতদাতার কুদরতি বিষয় নিয়ে।
রাখালেরা গোয়ালঘরে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেল; মরিয়ম, ইউসুফ এবং শিশু মসিহকে। তারা মহানন্দে উৎফুল্ল হলো মসিহকে দেখতে পেরে।
এটা যে সত্য: নাজাতদাতা আপনার জন্যও জন্মগ্রহন করেছেন। ঈসা মসিহকে আহ্বান করুন যেন তিনি আপনার হৃদয়ে এসে বসবাস করেন, তখন আপনি এমন আনন্দে পূর্ণ হবেন যা কখনোই ফুরিয়ে যাবার নয়, অথবা আপনাকে ছেড়ে দেবেন না।
লোকবল: ভাষ্যকার, ফেরেশতা
© Copyright: CEF Germany