STORIES for CHILDREN by Sister Farida(www.wol-children.net) |
|
Home عربي |
Home -- Bengali -- Perform a PLAY -- 164 (The lost sheep 2) This page in: -- Albanian -- Arabic? -- Armenian -- Aymara -- Azeri -- BENGALI -- Bulgarian -- Cebuano -- Chinese -- English -- Farsi -- French -- Fulfulde -- German -- Greek -- Guarani -- Hebrew -- Hindi -- Indonesian -- Italian -- Japanese -- Kazakh -- Korean -- Kyrgyz -- Macedonian -- Malayalam? -- Platt (Low German) -- Portuguese -- Punjabi -- Quechua -- Romanian -- Russian -- Serbian -- Slovene -- Spanish-AM -- Spanish-ES -- Swedish -- Swiss German? -- Tamil -- Turkish -- Ukrainian -- Urdu -- Uzbek
নাটক -- আপনার বন্ধুদের জন্য সঞ্চালন করুন !!
শিশুদের সঞ্চালন জন্য নাটক
164. হারানো মেষ-২ক্রুদ্ধ রূথ পালিয়ে গেল। খালা মার্গারেটের কথা তার কানে বাজতে থাকলো। ‘আমি তোমাকে বোডিং স্কুলে পাঠিয়ে দেব।’ সূর্য যখন অস্তমিত হলো, ততক্ষণে বাড়ি থেকে সে অনেক দূরে এসে পড়েছে। আর চিন্তায় পড়ে গেল কোথায় সে নিশি বাস করবে। হয়তো কবরস্থানের পিছনে চার্চের মধ্যে? কবরের চিহ্ন পাথরগুলো ধরে এগোতে লাগলো, হঠাৎ সে থমকে দাড়ালো, যখন সে একটা সাদা সলিব দেখতে পেলো। রূথঃ ‘জোনাথন কলিন্স, ৯ বৎসর বয়সি। সে মসিরেহ সাথে বাস করার জন্য চলে গিয়েছে। আজ যদি আমি মারা যাই তবে আমিও কি মসিহের সাথে মিলিত হতে পারবো?’ ভীষণ চিন্তা মগ্ন। রূথ লুকিয়ে চার্চের মধ্যে ঢুকে পড়লো। তারপরে বসার আসনে ঘুমিয়ে পড়লো। পরের দিন, পালক চার্চের ভিতরে প্রবেশ করে রূথকে দেখতে পেল। পালকঃ ‘শুপ্রভাত, তুমি কোথা থেকে এসেছো?’ রূথ বিশ্বাসপূর্বক পালকের কাছে তার পালিয়ে যাওয়া ঘটনা সবিশেষ বর্ণনা দিল। তারপর সে সুস্বাদু নাস্তা গোগ্রাসে গিলে চললো পালকের ঘরে, আর সেই ফাঁকে পালক মিষ্টার রবিঞ্জার ফোনে তার খালা মার্গারেটকে বিষয়টি জানিয়ে দিল। রূথ ততক্ষন পর্যন্ত কক্ষের সবকিছু দেখে চললো যতক্ষণে তার চোখ দেয়ালে টাঙ্গানো একটা ছবির প্রতি আকৃষ্ট না হলো। পালকঃ ‘তুমি কি ঐ ছবিটি পছন্দ করো? উনিই হলেন মসিহ, উত্তম রাখাল। তিনি হারানো মেষদের প্রতি বাহু বিস্তার করে রেখেছেন। তিনি তাদের সুরক্ষা করতে চান। মেষের ঘটনা তোমার কথা আমার মনে জাগিয়ে দেয়।’ রূথঃ ‘তিনি কি আমাকেও খুজে পাবেন? আমিও কি জোহান্না কলিন্সের মতো বেহেশতে পৌছাতে পারবো?’ পালকঃ ‘অবশ্যই! তোমাকে শ্রেফ বলতে হবে তুমি তাঁর সঙ্গ পেতে চাও। আমি তোমাকে ঐ ছবিটি দিয়ে দেব। এবার বাড়ি ফিরে যাও। তোমার খালা তোমার জন্য বড়ই উদ্বিগ্ন।’ বাড়ির পথে রূথ, তার পকেট থেকে ছবিটি বের করলো। সে ছবিটির দিকে তাকিয়ে প্রার্থনা করলো। রূথঃ ‘প্রভু মসিহ, আমিই এই অবাধ্য মেষ। দয়াপূর্বক আমার সকল পাপ ক্ষমা করো। আমি তোমার সন্তান হতে চাই আর একদিন বেহেশতে তোমার সাথে থাকতে চাই। আমিন।’ মসিহ এ ধরনের প্রার্থনার জবাব দ্রুত দিয়ে থাকেন। প্রার্থনার জবাব পেয়ে রূথ আনন্দে প্রভুকে ধন্যবাদ জানালো আর নাচতে শুরু করলো। খালা মার্গারেট ঘরের সামনের দরজায় তার আগমনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তারা উভয় উভয়কে বুকে জড়িয়ে ধরলো। রূথঃ ‘খালা মার্গারেট, সবকিছুর জন্য আমি দুঃখিত। দয়া করে আমাকে বোডিং স্কুলে পাঠাবেন না। এখন থেকে আমি ভালো হয়ে চলবো।’ খালা মার্গারেটঃ ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমরা আর একবার চেষ্টা করে দেখি।’ রূথ সত্যিই তার মনোভাবের পরিবর্তন আনতে চেষ্টা করলো। উত্তম মেষ পালকের কণ্ঠস্বর শুনতে সে চেষ্টা করলো। তিনি তার হৃদয়ে বাইবেলের মাধ্যমে কথা বলতেন। কিন্তু সে তার গর্বিত একগুয়েমি স্বভাবের দিকে কান দিত না, কেননা গর্ব তাকে উত্তেজিত করে রাখে। রূথ সত্যিকারার্থে বদলে গেল, কিছুদিন ধরে সবকিছু সুন্দরভাবে চলতে থাকলো। হঠাৎ তারপর...। পরবর্তি নাটকে দেখার জন্য প্রস্তুতি নাও, সেখানে আমি এই উৎসাহ ব্যঞ্জক ঘটনার বর্ণনা দেব। লোকবলঃ ভাষ্যকার, রূথ, পালক, খালা মার্গারেট © Copyright: CEF Germany |