Home -- Bengali -- Perform a PLAY -- 167 (Super idea, Aunt Margret 5)
167. ট উত্তম ধারনা আন্ট মার্গ্রেট-৫
রূথ ও ফিলিপ টেরির জন্য উপহার সামগ্রি উত্তমভাবে কাগজে মুড়ে নিল। তাদের অসুস্থ বন্ধু চমৎকৃত হবে।
পথে বনের মধ্যে তারা টেরির মাতার সাক্ষাত পেল। সে কাঁদতে ছিল। রূথ তাকে স্বান্তনা দিতে চাইল। তার কাছে মসিহের বিষয় খুলে বললো, মসিহ হলেন উত্তম মেষ পালক যিনি তার মেষগুলোকে সাহায্য করেন, কেননা তিনি তাদের প্রেম করেন।
ফিলিপঃ ‘আমরা আপনার জন্যও কিছু সামগ্রি নিয়ে এসেছি (অর্থ গণনার শব্দ)। আমাদের যা কিছু ছিল সবটাই নিয়ে এসেছি। এর দ্বারা আপনি টেরির জন্য দুধ কিনে নিতে পারেন।’
মাতাঃ ‘তোমাদের অসংখ্য ধন্যবাদ, তোমরা বড়ই দয়ালু। এগিয়ে চলো, টেরি তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।’ (পদধ্বনির শব্দ)
ফিলিপঃ ‘রূথ, আমাদের যে কয়টা টাকা ছিল তার পুরোটাই দিয়ে দেওয়ায় তুমি কি আমার উপর ক্ষেপে আছো?’
রূথঃ ‘না, উত্তম মেষ পালক তার পুরো জীবন কোরবানি দিয়েছেন সলিবে যেন আমরা কৃপণের মতো জীবন যাপন না করি।’
টেরি এ সকল উপহার দ্রব্য পেয়ে বড়ই খুশি। কিন্তু তার মনোবল যেন ক্রমেই পূর্বের চেয়ে দুর্বল হয়ে পড়ছে।
টেরিঃ ‘ডাক্তার বলেছে সে আর সাহায্য করতে পারবে না। তাই আমাকে মৃত্যুর পথ বেছে নিতে হচ্ছে।’
ফিলিপ ও রূথ নিজেরা বলাবলি করলো, খোদা যদি তাদের প্রার্থনা শ্রবণ করেন তবে কেন তিনি একটা আশ্চর্য কাজ করতে পারবেন না?
হতাশ, তারা সেই বিকেলে বাড়িতে ফিরে আসলো। খালা মার্গারেট সুন্দরভাবে মেহমানের ঘরটা পরিষ্কার করলেন ও সাজালেন।
খালা মার্গারেটঃ ‘তোমরা কি মনে করো টেরি ও তার মা যদি আমাদরে সাথে এ রূমে বাস করে?’
রূথঃ ‘সর্বোত্তম! একটা দারুন ব্যবস্থা!’
একটা এম্বুলেন্স টেরিকে তাদের বাড়ি নিয়ে আসলো। সে উক্ত কক্ষটি পছন্দ করলো। তার বিছানা জানালার কাছে পাতা হলো।
টেরিঃ ‘চমৎকার একটি ব্যবস্থা।’
তখন দেয়ালে ঝুলানো ছবিটি সে প্রত্যক্ষা করতে পারলো। মসিহ হলেন উত্তম মেষপালক দুহাত বাড়িয়ে রেখেছেন তার বিপন্ন মেষদের সাহায্য করার জন্য।
টেরিঃ ‘রূথ, আমি এমন একটা ছবি দেখতে চাই যেথা মসিহ তার মেষদের ধরে রেখেছেন দুবাহু বাড়িয়ে।’
পালক রবিঞ্জার তার জন্য একটা ছবি নিয়ে এলেন। উক্ত ছবির মধ্যে অনেকগুলো মেষ। মসিহ সম্মুখপানে হেটে চলছেন, হাতে একটা মেষ আর তাকে অনুসরণ করে চলছে অগণিত।
টেরিঃ ‘সে বহন করে কোথায় যাচ্ছেন?’
পালকঃ ‘বাড়িতে।’
টেরিঃ ‘তা কোথায় আছে?’
পালকঃ ‘যেখানে মসিহ বাস করেন। যেথা আর কোনো অশ্রু থাকবে না, আর কোনো ব্যাথা থাকবেনা।’
টেরিঃ ‘ব্যাথা থাকবেনা? সবগুলোই কি চলে যাবে?’
পালকঃ ‘যতজন উত্তম মেষপালকের সাথে যুক্ত হয়।’
টেরিঃ ‘আমি তার সাথে যুক্ত হতে আর তার নিজস্ব হতে চাই।’
টেরি প্রার্থনা করলো আর ছবিটি দৃঢ় হস্তে ধারণ করলো। তারপর সে ঘুমিয়ে পড়লো।মধ্যরাতে উক্ত ঘরে এতগুলো পদচিহ্নের অর্থ কি হতে পারে?
পরবর্তি নাটকে আমি এর জবাব দিব।
লোকবলঃ ভাষ্যকার, রূথ, মাতা, টেরি, পালক, খালা মার্গারেট
© Copyright: CEF Germany