STORIES for CHILDREN by Sister Farida

(www.wol-children.net)

Search in "Bengali":

Home -- Bengali -- Perform a PLAY -- 142 (Doomed man 3)

Previous Piece -- Next Piece

নাটক -- আপনার বন্ধুদের জন্য সঞ্চালন করুন !!
শিশুদের সঞ্চালন জন্য না

142. বিনাশ প্রাপ্ত ব্যক্তি-৩


ডাক্তারঃ ‘মিষ্টার টেলর, তোমাকে আতঙ্কগ্রস্থ মনে হচ্ছে! তোমার ইচ্ছা প্রকাশ করো। তুমি আর অধিককাল জীবিত থাকছো না।’

হাডসন টেলরঃ ‘ঠিক আছে, আমি প্রকাশ করবো। আমি দীর্ঘজীবি হবো। খোদা আমার কাজের ব্যবস্থা প্রস্তুত করে রেখেছেন চীন দেশে। যেভাবেই হোক, যদি আমি মারা যাই, তবে আমি মসিহের সাথে যুক্ত থাকবো, আর সাগ্রহে আমি সেই ক্ষণের অপেক্ষায় আছি।’

জটিল জ্বরে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির শব দেহের দ্বারা হাডসন টেলর সংক্রমিত হয়। কেউই ভাবতে পারে নি যে সে বেঁচে উঠবে। কিন্তু মসিহ তাকে সুরক্ষা করেছেন। হাডসন ঔষধ বিজ্ঞানের উপর পড়াশুনা চালিয়ে চললেন, কেননা চিকিৎসা পেশা তার প্রয়োজন হবে চীন দেশে মিশনারী কাজে। ১৮৫৩সনে ১৯শে সেপ্টেম্বর চীনে যাবার জন্য প্রস্তুতি নিলেন। তিনি জাহাজে চড়লেন, জাহাজের নাম হলো, ‘ডুমফ্রাইস’ যা ইংল্যান্ড থেকে চীন অভিমুখে রওয়ানা করলো। ঘাট থেকে ছাড়ার অব্যহিত পর তারা একটা মারাত্মক ঝড়ের কবলে কবলিত হলো। ঢেউগুলো সকল নাবিকদের সহ সাহাজ ডুবিয়ে দিতে উদ্ধত। কিন্তু মসিহ যিনি ঝড় নিয়ন্ত্রণ করেন, তিনি জাহাজটিকে ডুবতে দিলেন না। অন্য এক সময় যখন কোনো ঝড়ো হাওয়াই ছিল না, পাল তুলে দিল। একটি জলের শ্রোত জাহাজটিকে পাথরের গায়ে নিয়ে ধাক্কা দিল। জাহাজের নাবিক আসা ছেড়ে দিল।

নাবিকঃ ‘এখানেই আমাদের যাত্রা শেষ। আমাদের হাতে করার মত আর কিছুই নেই, কোনো পথ খোলা নেই।’

হাডসন টেলরঃ ‘ঠিক আছে, আমরা আর একটা কাজ করে দেখতে পারি।’

নাবিকঃ ‘তা আবার কি?’

হাডসন টেলরঃ ‘আমরা প্রার্থনা করতে পারি খোদার কাছে যাতে তিনি বাতাস পাঠিয়ে দেন।’

হাডসন টেলর প্রার্থনা করলেন এবং বিশ্বাস করলেন যে, খোদা তাদের জন্য সাহায্য প্রেরণ করবেন।

হাডসন টেলরঃ ‘বিশালাকারের পালটি নামিয়ে রাখুন।’

নাবিকঃ ‘তা কি নির্বুদ্ধিতার কাজ হবে না?’

হাডসন টেলরঃ ‘খোদা বাতাস প্রবাহিত করবেন।’

নাবিকঃ ‘তবে তো বিষয়টি হাস্যকর হলো। আমি যখন তা দেখতে পাবো তখন তাতে বিশ্বাস করবো।’

কিন্তু পরিহাস করেও একটি আশ্চর্য ঘটনার অভিজ্ঞতা লাভ করলো। হঠাৎ করে পালে প্রবল বাতাস বইতে শুরু করলো আর জাহাজ পাথরের বিপদজনক পাহাড় পাশ কাটিয়ে চলে গেল ফলে জাহাজের আর কোনো ক্ষতি হলো না।

মসিহ তাঁর তদারকি হাত ডুমফ্রাইস জাহাজের উপর রাখেন। তারা সাংহাই বন্দরে নংগর করলো নিরাপদে।

হাডসন চীনের মাটিতে পদার্পণ করে আনন্দে কেঁদে দিলেন। চীনের লোকদের কাছে তিনি তার সুরক্ষকারীর বিষয়ে বলার জন্য ছুটে এসেছেন। আর এ কারণেই তিনি তাদের ভাষা শিখেছেন। উক্ত ভাষা শেখা বড়ই কষ্টকর বিষয়। শিক্ষাগ্রহনের সময় তার জিহ্বা কখনো কখনো ক্লান্ত হয়ে পড়তো।

হাডসন টেলরঃ ‘জির জিসু আইও, জা সেচেং সেচিং কাউসুও।’

মনে হবে বহুসংখক চীন জাতি তাদের বিশেষ মেহমানের আগমনের জন্য অপেক্ষারত যেন তিনি এসে প্রভু ঈসা মসিহের বিষয় তাদের কাছে বলবেন। কিন্তু তিনি ও তার দলের লোকজন সর্বত্র সমভাবে সমাদৃত হলেন না।

মহিলাঃ ‘টাংসুতে যাবেন না। ওখানকার লোকজন খারাপ। হয় তারা তোমাকে হত্যা করবে নতুবা জেলে পাঠাবে।’

হাডসন টেলরঃ ‘যদি লোকজন খারাপ হয়ে থাকে, তবে ওখানেই আমাদের যাওয়া উচিত। তাদের প্রয়োজন আছে মসিহের।’

(প্রবল বিক্ষোভের শব্দ) কিছু একটা ঘটে চলছে!

আমি তোমাদের বলবো যা ঘটেছে সে বিষয়ে পরবর্তী নাটকে।


লোকবলঃ ভাষ্যকার, ডাক্তার, হাডসন টেলর, নাবিক, মহিলা

© Copyright: CEF Germany

www.WoL-Children.net

Page last modified on November 28, 2019, at 11:05 AM | powered by PmWiki (pmwiki-2.3.3)