Home -- Bengali -- Perform a PLAY -- 144 (Totally in love 5)
144. প্রেমে ডুবন্ত-৫
দুঃখের সাথে হাডসন দরজা বন্ধ করলেন। সুংমিং দ্বীপের বন্ধুদের ত্যাগ করে আসতে হবে কারণ ঈর্ষাকাতরতার কারণে তার বিরুদ্ধে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে কানভারী করার মতো অনেক কথা ছড়িয়েছে। তিনি সব কথা বুঝতে পেরেছিলেন।
কিন্তু খোদা তাকে নিরাশ করলেন না। তিনি ক্ষমতা রাখেন সকল অভিশাপকে বরে পরিণত করতে। তার নতুন ঠিকানা হলো নিংপো শহরের ব্রিজ স্ট্রীটে। উক্ত এলাকায় চীনজাতির কাছে আনন্দের সাথে মসিহের বিষয় বিষয় প্রচার করে চললেন। মসিহই সকলের নাজাতদাতা।
খোদা সবকিছুই পরিপাটি করে দিলেন। তখনও সর্বোত্তম ব্যবস্থা অনাগত ছিল! ভালোভাবে বলা চলে, সর্বোত্তম ব্যক্তি। তাঁর ঘরের পাশেই ছিল একটা মিশনারী স্কুল। ইংল্যান্ডের একজন মহিলা সে স্কুলে শিক্ষাদান করতেন। হাডসন উক্ত উৎফুল্ল শিক্ষিকার প্রেমে পড়লেন, আর তিনিও তার প্রেমে দিশা পেলেন। হাডসন চাইলেন তাকে বিবাহ করতে, তবে বিবাহের পূর্বে কোনো একটা প্রতিজ্ঞায় তাকে শপথ নিতে হবে।
হাডসন টেলরঃ ‘মরিয়ম, আপনাকে আমার কিছু বলার আছে। আমি কোনো ধনি মানুষ নই। আমার যখন কিছু প্রয়োজন পড়ে তখন আমি মসিহের কাছে যাঞ্চা করি যেন তিনি তা পরিবেশন করেন আর আমি তাঁর উপর শতভাগ আস্থা রাখি, আমার প্রতি রয়েছে তাঁর পুরো যত্ন। আমার অনেকগুলো টাকা নেই, যাই হোক আপনি কি আমাকে বিবাহ করতে রাজি আছেন।’
মরিয়মঃ ‘অবশ্যই! আমরা উভয়ই মিলে তাঁর উপর আস্থা রাখবো। আমাদের অত্যাধিক কোনোকিছুর প্রয়োজন নেই। সর্বোত্তম যা কিছু আমাদের প্রয়োজন তা হলো খোদাবন্দ হযরত ঈসা মসিহ।’
অনেক বন্ধুবান্ধব তাদের বিবাহে আমন্ত্রিত ও উপস্থিত হলেন। যারাই খোদাকে মহব্বত করেন খোদা তাদের উত্তম দ্রব্যে ভুষিত করেন। তিনি প্রতিজ্ঞা করেছেন এমন, আর তিনি তার ওয়াদা বাস্তবায়িত করেন। আর এ বিশ্বাস নিয়েই হাডসন ও মরিয়ম তাদের জীবনের ভার মসিহের উপর ন্যাস্ত করেছিলেন।
হাডসন রোগীদের সেবাদান করতেন আর তাদের কাছে মসিহের বিষয় প্রচার করতেন। মরিয়ম শিশুদের শিক্ষাদান করতেন আর অনেকের কাছেই প্রভু মসিহ ঈসার বিষয় প্রচার করতেন। তারা গরীবদের খাবার দিতেন। হাডসন ও মরিয়মের কখনোই কাজের অভাব হতো না। তারা এতটাই সুখী ছিলেন যা দেখে চীনাদের অনেকেই মসিহের উপর বিশ্বাস ও তাঁর কাছে সমর্পিত হতে আগ্রহী হতেন।
রোজ বিকেলে নিমন্ত্রনের ঘণ্টা রাজতো সভা পরিচালনার জন্য। পৌত্তলিক নি নিজেও মনোমুগ্ধকর বাজনা শুনতে পেলেন, তাই তিনি সেবা কেন্দ্রে হাজির হলেন। তাঁর জীবনে তিনি প্রথম বার শুনতে পেলেন যে মসিহই হলেন খোদার কাছে পৌছার উপযুক্ত ও একমাত্র পথ।
নিঃ ‘মিষ্টার টেলর, সুদীর্ঘকাল ধরে আমি সত্য খুঁজে বেরিয়েছি। মসিহ হলেন একমাত্র সত্য। আমি তার উপর বিশ্বাস করি। কতবৎসর ধরে ইংরেজ লোকজন প্রকৃত সত্য জেনেছে?’
হাডসন টেলরঃ ‘কয়েক শত বৎসর ধরে।’
নিঃ ‘কি বলেন??? এতটা দীর্ঘ সময়??? তা হলে ইতোপূর্বে তাদের কেউ না কেউ সত্যের পক্ষে সাক্ষ্য দেবার জন্য আমাদের কাছে কেন আসলেন না?’
হাডসনের মনে এ প্রশ্ন আলোড়ন সৃষ্টি করে চললো। তিনি চিন্তা করে দেখলেন, লক্ষকোটি চীনা নাগরিক এখন পর্যন্ত সত্যালোক থেকে দূরে অন্ধকারে পড়ে রয়েছে তাই অসুস্থ হবার পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত তিনি অধিক শ্রম দিয়ে কাজ চালিয়ে গেলেন তাকে তখন ইংল্যান্ডের ফিরে যেতে হলো সুস্থ হবার জন্য। কেউ যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে, খোদা কি তখন তার মধ্যদিয়ে উত্তম কিছু উৎপন্ন করতে পারেন?
এর জবাব তোমরা জানতে পারবে পরবর্তি নাটকে। শোনার জন্য অপেক্ষা করো।
লোকবলঃ ভাষ্যকার, হাডসন টেলর, মরিয়ম, নি
© Copyright: CEF Germany