Home -- Bengali -- Perform a PLAY -- 136 (First aid 4)
136. প্রাথমিক ব্যবস্থা-৪
(ট্রাফিকের নিয়ন্ত্রনের শব্দ)
বালিকাঃ ‘জীবনের শিক্ষা ৩য় অধ্যায় প্রাথমিক চিকিৎসা।’
তুমি এমন কোনো হাসপাতাল দেখেছো যেথা চিকিৎসক অথবা সেবিকা কেউই থাকে না? এ ধরণের স্থানও রয়েছে অস্তিত্বমান! বাস্তবে তা হাসপাতালের মত দৃষ্ট হবার নয়, তবে সাতার কাটার দিঘির মতো যার রয়েছে দু’টো আলাদা আলাদা ব্যবস্থা।
যা ছিল ছাদ দেয়া ঘাটের মতো আর বিশাল আকারের থামের দ্বারা সুরক্ষিত।
বহু রূগ্ন ব্যক্তি এখানে সুয়ে থাকতো। তবে কোনো চিকিৎসক তাদের দেখাশুনা বা চিকিৎসা করতো না। প্রাথমিক চিকিৎসা বলতেও তথায় কিছুই ছিল না। তাছাড়া কোনো এ্যাম্বুলেন্স বা জরুরী কাজকর্ম বলতে কিছুই থাকতো না তথায়।
অসুস্থ লোকজন সজাগ দৃষ্টি নিয়ে সততঃ পানির দিকে তাকিয়ে থাকতো। কথিত ছিল, একজন ফেরেশতা এসে দিঘির পানি নাড়া দিত, আর যে রোগী প্রথমে পানিতে নামতে পারতো সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যেত, হতো রোগমুক্ত। আর অপেক্ষমান সকলেই সুস্থ হবার জন্যই তথা বসে থাকতো। বিশেষ করে একজন খোড়া ব্যক্তি প্রত্যাশায় বসে ছিল পানির মধ্যে ডুব দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা লাভ করবে।
লোকটিঃ ‘আমি আমার নজর পানি থেকে অন্য কোনো দিকে ঘুরাতে পারি না। ঐতো, পানি নড়ে উঠেছে। আমাকে প্রথম ব্যক্তি হতে হবে পানিতে নামার প্রশ্নে (পানিতে ঝাপ দেবার শব্দ)। আবার আমার দেরি হয়ে গেল! আমি কখনোই আর পেরে উঠি না।’
হতাশ হলো, আবার সে মাটিতে চাদরের উপর বসে পড়লো। এভাবে সে ৩৮টি বৎসর অপেক্ষা করে চলছে প্রাথমিক চিকিৎসা লাভের জন্য।
একদা কোনো একজন তাকে দেখতে এলেন।
মসিহঃ ‘তুমি কি সুস্থ হতে চাও?’
খোড়া লোকঃ ‘অবশ্যই, কিন্তু আমার এমন কেউ নেই যে পানি নড়ে উঠার সাথে সাথে আমাকে জলে নামিয়ে দেয়। আমার পৌছার পূর্বেই কেউ না কেউ ঝাপ দিয়ে পড়ে।’
মসিহঃ ‘উঠে দাঁড়াও! তোমার পাটি জড়ো করে হেটে বেড়াও।’
লোকটি উঠে দাঁড়ালো আর সাথে সাথে সুস্থ হয়ে গেল। প্রাথমিক চিকিৎসা, সূঁচ বা ব্যান্ডেজ ব্যতিরেকেই।
৩৮ বৎসর পরে সম্পূর্ণ সুস্থা হলো! আমি জানি না, অন্যরা তার সুস্থতার কারণে খুশি হতে পেরেছে কিনা।
ফরিশিঃ ‘তুমি যা কিছু করতেছো তা কি মনে করো? আজকে বিশ্রাম বার। বিশ্রামবারে তুমি তোমার বিছানা নিয়ে চলতে পারো না।’
সুস্থ হওয়া লোকঃ ‘যিনি আমাকে সুস্থ করেছেন তিনি বলেছেন বিছানা গুটিয়ে চলে যেতে।’
ফরিশিঃ ‘তিনি কে?’
তুমি কি জানতে চাও তিনি কে? ঠিক আছে। তিনি প্রভু মসিহ। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন যা সর্বোত্তম। কেবল আমাদের দেহের জন্য নয় বরং হৃদয়ের জন্যও তা সুস্থতাদায়ক। তিনি আনন্দের সাথে সেবা ও রক্ষা করেন। পরবির্ত সময় তিনি যখন সুস্থ লোকটির সাথে কথা বললেন, তিনি তাকে কয়েকটি সুপরামর্শ দিলেন।
মসিহঃ ‘তুমি বর্তমানে সুস্থ। অন্যায় কাজ করো না ও পাপের পথে চলো না যেন আবার কোনো মারাত্মক কিছু না ঘটে।’
আমি কল্পনা করতে পারি মসিহ যা কিছু বলেছেন তার মর্মার্থ। তোমরাও কি বুঝতে পারো?
লোকবলঃ ভাষ্যকার, লোক, মসিহ, ফরিশি, বালিকা
© Copyright: CEF Germany