STORIES for CHILDREN by Sister Farida(www.wol-children.net) |
|
Home عربي |
Home -- Bengali -- Perform a PLAY -- 082 (The special submarine 2) This page in: -- Albanian -- Arabic? -- Armenian -- Aymara -- Azeri -- BENGALI -- Bulgarian -- Cebuano -- Chinese -- English -- Farsi -- French -- Fulfulde -- German -- Greek -- Guarani -- Hebrew -- Hindi -- Indonesian -- Italian -- Japanese -- Kazakh -- Korean -- Kyrgyz -- Macedonian -- Malayalam? -- Platt (Low German) -- Portuguese -- Punjabi -- Quechua -- Romanian -- Russian -- Serbian -- Slovene -- Spanish-AM -- Spanish-ES -- Swedish -- Swiss German? -- Tamil -- Turkish -- Ukrainian -- Urdu -- Uzbek
নাটক -- আপনার বন্ধুদের জন্য সঞ্চালন করুন !!
শিশুদের সঞ্চালন জন্য নাটক
82. বিশেষ ধরণের ডুবো জাহাজ-২বালকঃ ‘ইউনুসের ক্ষেত্রে যা কিছু ঘটেছে তা দেখে আমি উৎসুক হয়ে আছি।’ বালিকাঃ ‘যদি সে প্রজ্ঞাশীল হতেন তবে খোদার আজ্ঞায় তুষ্ট থাকতেন আর তাঁর কাছ থেকে ভেগেও যেতে হতো না।’ বালকঃ ‘তাঁকে তার পোশাকাদি পর্যন্ত ভিজাতে হতো না।’ খোদা বাঁচাতে চান সে কারণেই ইউনুসকে নিনভিতে যেতে হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে জীবনভরের জন্য তাঁর যাত্রা সুসম্পন্ন হয়েছে। খোদার জন্য তা না হতে পারে। তিনি রক্ষা করতে আগ্রহী। ইউনুসকেও তিনি বাঁচাতে চান। আর সে কারণেই তিনি একটি বিশেষ ধরণের ডুবোজাহাজ প্রেরণ করলেন কেবল তাঁরই রক্ষার জন্য। বিশালাকার একটি মাছ ইউনুসের অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাঁকে আস্ত গিলে নিল। সাগরের গভীরে তিন রাত তিন দিন একটানা মাছের পেটে ইউনুস কাটালেন খোদার কাছ থেকে ভেগে যাবার যাত্রা ইউনুসের জন্য সমাপ্ত হলো। তিনি তার যথাসাধ্য শক্তি নিয়ে খোদার কাছে ফরিয়াদ জানালেন। ইউনুসঃ ‘প্রভু, তুমি আমাকে সাগরে নিক্ষেপ করেছিলে। সাগরের ঢেউ আমাকে ঘিরে ধরেছিল। আমি মনে করেছিলাম আমি মারা যাব। কিন্তু তুমি আমাকে বাঁচালে! তোমাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি! তুমি যা কিছু বলবে আমি তাই করবো।’ খোদা প্রত্যেকের কথাই শোনেন। তুমি যখন ভারাক্রান্ত ও শোকে ম্রিয়মান হয়ে পড়ো তখন যদি তুমি তাঁর কাছে ফরিয়াদ করো তবে তোমার ডাকেও তিনি সাড়া দিয়ে থাকেন। খোদা ইউনুসের ডাকে সাড়া দিলেন, মাছকে হুকুম দিলেন তাকে যেন নিনভির সৈকতে সম্পুর্ণ সুস্থ অবস্থায় বমন করে রাখে, কেননা তিনি এমন একযাত্রী যাকে মাছের সাধ্য নেই হজম করার। খোদা বাঁচাতে চান। সে কারণে তিনি ইউনুসকে দ্বিতীয় বারের মতো আজ্ঞা করলেন। খোদা বললেনঃ ‘ইউনুস, বিশাল শহর নিনভিতে যাও, আর আমি যা কিছু বলি তা ঘোষণা দাও।’ ইউনুস রওয়ানা দিলেন। (পদযাত্রার ও শহরের কলকোলাহলের শব্দ) ইউনুসঃ ‘আপনারা সকলে মনোযোগ দিয়ে শুনুন, খোদা আমাকে আপনাদের কাছে প্রেরণ করেছেন। এখন থেকে ৪০দিনের মধ্যে এই সুন্দর শহর ধ্বংস্তুপে পরিণত হবে। তা হবে আপনাদের পাপের শাস্তি। কেননা আপনারা সকলে মিথ্যাবাদি, জেনাখোর ও কুটিল চরিত্রের। খোদা সবকিছুই দেখতে পান, আপনারা চোর ও খুনি।’ বিরক্তিসহকারে লোকজন ইউনুসের কথা শুনলো। ইউনুসের ভাষণ তাদের হৃদয় বিদ্ধ করলো। মহিলাঃ ‘সে ঠিকই বলছে। আমরা খোদার বিরুদ্ধে পাপ করেছি। আমাদের কি করার আছে এ বিষয়ে?’ রাজদূতঃ ‘রাজাজ্ঞা রয়েছে! কেউই পানাহার করতে পারবে না। তোমরা পাপের জন্য অনুতপ্ত হও আর খোদার কাছে পানাহ চাও। হয়তো খোদা শুনতে পারেন আমাদের প্রার্থনা। অন্যায় কাজ থেকে বিরত হও আর নতুন জীবন শুরু করো।’ চিন্তা করুন! শহরের ১২০০০০ জনবসতি খোদাকে ডাকতে শুরু করলো। বয়স্ক ও শিশু সমানে ফরিয়াদ জানাতে লাগলে। খোদা থেকে বিচ্ছিন্ন জীবন যাপন করার জন্য সকলেই আজ অনুতপ্ত। দিন অতিক্রম করে চললো ৩৮, ৩৯, ৪০ দিনও গড়ায়ে গেল। খোদা তাদের শাস্তি দিলেন না। তাদের অনুতপ্ত চিত্তের প্রার্থনা খোদা মর্যাদা দিলেন ফলে তিনি তাদের ক্ষমা করলেন। এমন ক্ষমা বড়ই আশাপ্রদ কি নয়? সকলেই খোদার কাছে ফরিয়াদ জানালো, আর যারাই তা করলো তারা সকলে নাজাত পেল। তেমন ঘটনা যদি আমাদের গ্রামে ঘটতো আমাদের শহরে! খোদা নাজাত দান করতে চান। তোমাকে ও অন্যান্য সকলকে তিনি বাঁচাতে চান। লোকবলঃ ভাষ্যকার, দুইটি শিশু, ইউনুস, খোদা, মহিলা, রাজদূত যিনি হলেন রাজার পক্ষে ঘোষক © Copyright: CEF Germany |