Home -- Bengali -- Perform a PLAY -- 134 (STOP 2)
134. থমকে দাঁড়ানো-২
বালিকাঃ ‘জীবন পথের পাঠশালার প্রথম অধ্যয়। আজ আমরা দেখব সম্পূর্ণ দাড়িয়ে পরার চিহ্ন।’
(ট্রাফিক নিয়ন্ত্রনের শব্দ)
বালকঃ ‘সে কি পাগল? যেখানে সম্পূর্ণ দাড়াবার চিহ্ন তথায় উচ্চ গতিতে গাড়ি চালাচ্ছে।’
বালিকাঃ ‘সম্ভবত সে ভিষণ ব্যস্ত।’
বাইবেলে আমরা একটি ব্যক্তির বিষয়ে দেখতে পাই যে কিনা ছিল ভীষণ ব্যস্ত। তিনি এম ব্যক্তি যার বিষয়ে আগে ভাগে কিছুই বলার উপায় ছিল না। তার বিষয়ে সকলেই ছিল অত্যন্ত ভিত। খুনিসুলভ ধারনাবশে সে চলতো। নির্দোষ লোকজন তার দ্বারা কষ্ট পেত।
শৌলঃ ‘আমরা প্রত্যেকটি খ্রীষ্টানকে মুছে ফেলবো, যে কেউ বলে বেড়ায় ঈসা মসিহ হলেন খোদার পুত্র। চলো আমরা দামেস্ক শহরে যাই।’
সে পুরুষ ও মহিলা সকলকে বন্দি করে নিয়ে আসতে চাইলো।প্রধান পুরোহিত তাকে এইমর্মে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছে। (পদযাত্রার শব্দ) শৌল সবার চেয়ে বেশি গতিতে অগ্রগামি। হঠাৎ দাড়িয়ে পড়লো বেহেশত থেকে একটি আলো এসে তার চারপাশে উজ্জল করে দিলো।
মসীহঃ ‘শৌল, শৌল! কেন তুমি আমাকে অত্যাচার করছো?’
শৌলঃ ‘প্রভু, কে আপনি?’
মসিহঃ ‘আমি মসীহ ঈসা, যাকে তুমি নির্যাতন করে ফিরছো। উঠে দাড়াও। ডামেস্কে চলে যাও, সেখানে গিয়ে জানতে পারবে আমি তোমাকে দিয়ে কি করাতে চাই।’
শৌলের সহপথিক যারা ছিলেন তারাও শব্দ শুনতে পারলেন কিন্তু তারা কাওকে দেখতে পেলেন না। শৌল যখন উঠে দাড়ালেন, তখন সে সম্পুর্ণ অন্ধ। তার সহকর্মীরা তাকে ধরে ধরে শহরে নিয়ে গেলেন।
মসিহ শৌলের গতি বন্ধ করে দিলেন। তিনি তখন বুঝতে পারলেন তাঁর জীবনটা ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছিল। তার ধারনা ছিল, সে খোদার পথে ছিলেন, কিন্তু তা আদৌ সত্য নয়। মসিহকে ব্যতিত আমরা জীবন পথে খোদার বিরুদ্ধে চলছি। এমন একটা পথে আমরা চলছি যা আদৌ বেহেশত মুখী নয়। এটা একটা মারাত্মক পথ। আর সে কারণেই মসিহ শৌলকে সম্পূর্ণ থামিয়ে দিলেন। তিনি নিয়ত ভুলথে ধাবমানকারী লোকদের সত্যের পথে নিয়ত করেন পরিচালনা।
বালিকাঃ ‘আমি কখনোই আলো দেখতে পাইনি।’
খোদার ‘বিরতি চিহ্ন’ যে কোনো ব্যক্তিকে ভিন্ন পথে পরিচালনা করতে পারেন।
বালকঃ ‘আর তা হতে পারে দৃষ্টান্ত স্বরূপ দুর্ঘটনা, মারাত্মক অসুস্থতা। তোমার ক্ষেত্রে এম কি ঘটেছিল?’
আমার ‘বিরতি চিহ্ন’ ছিল একটা ধর্মিয় উপদেশ। খোদা লোকদের ব্যবহার করে থাকেন অন্য কারো ক্ষেত্রে বিরতি চিহ্ন হিসেবে কাজ করার জন্য।
বালিকাঃ ‘তারপরে শৌলের জীবনে কি হয়েছিল?’
সে স্বীকার করেছিলেন জীবনের ভুল পথে সে দৌড়াচ্ছিলেন, আর তখন তিনি প্রার্থনা করলেন। ঘটনার তিনদিন পরে একজন ব্যক্তি তাকে দেখতে আসলেন।
আননিয়ঃ ‘প্রিয় ভ্রাতা শৌল, মসিহ ঈসা আমাকে আপনার কাছে প্রেরণ করেছেন যেন আপনি পুনরায় দেখতে পারেন। পাকরূহের পূর্ণতা পান, পাকরূহ আপনাকে শক্তি যোগাবেন জীবন পথে চলার জন্য।’
ঠিক সেই সময় শৌল পুনরায় দেখতে পেলেন।
বালকঃ ‘তারপর কি হলো?’
যে সময় মসিহিদের তিনি হত্যা করতে চাইলেন আজ তারাই হলেন তার সবচেয়ে ঘনিষ্ট বন্ধু, স্বজন-প্রিয়জন। আর তিনি বহুলোককে মসিহের পথে চালিয়েছেন ও সত্যের মুখোমুখি করেছেন।
লোকবলঃ ভাষ্যকার, বালিকা, বালক, শৌল, মসিহ, আননিয়
© Copyright: CEF Germany