Home -- Bengali -- Perform a PLAY -- 133 (School of life 1)
133. জীবনের পাঠশালা-১
জীবন বিধানে আহ্বান জানাচ্ছি। মজার বিষয় হলো, তোমরা আমাদের সাথে যুক্ত আছো।
বালিকাঃ ‘আমাদের সাথে যুক্ত হও, এটা একটা আনন্দের বিষয়।’
(রাস্তার গোলমালের শব্দঃ হঠাৎ গাড়ির টায়ার ব্রেকের শব্দ, গাড়ির আওয়াজ, সাইকেলের বেলের টুনটুন ধ্বনি...)
বালক ও বালিকা যুগপথঃ ‘সঠিক পথে চলো, দাঁড় করাবার স্থান নেই খাড়া বাঁক লালসাদা তীর চিহ্নিত আমরা কোথায়? আমাকে কোথা যেতে হবে? থামাবার চিহ্ন সাবধান বাণী পিছলে যাওয়ার বরফ।’
অনেকগুলো চিহ্ন আর ওগুলো বহুধরনের। রাস্তার পার্শ্বে ট্রাফিক চিহ্নগুলো অতীব দরকারি বিষয়। ওগুলোকে ওখানে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে, তোমার যাত্রা বন্ধ করার জন্য নয় অথবা পিছনে ফিরিয়ে দেয়া নয় অথবা তোমাকে বিপন্ন করাও নয়, কিন্তু তোমাকে সুরক্ষা করার জন্য তথা তোমার গন্তব্যে পৌছাতে সাহায্য করার জন্য।
কিতাবুল মোকাদ্দসে খোদা অনেকগুলো চিহ্ন প্রতিষ্ঠা করেছেন তোমাদের জীবন পথে চলার জন্য। তিনি চান না আমাদের গতিরোধ বা বিপন্ন করে দিতে, তার আজ্ঞা সমূহের দ্বারা সমস্যা সৃষ্টি করে তুলতে, কিন্তু আমাদের জীবন বাঁচাতেই তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। যে কেউ তার আজ্ঞা সমূহ পালন করে সেই জীবনের গন্তব্যে পৌছাতে পারে।
বালিকাঃ ‘জীবনের পথে চলতে আমাদের সঙ্গ নাও।’
বালকঃ ‘আমি নিশ্চিত তুমি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হবেই।’
জীবন পথে অভিযাত্রা রোমাঞ্চকর।
তবে এক্ষেত্রে মাত্র দু’টো পথ রয়েছে, আমাদের যেকোনো একটা বেছে নিতে হবে। বাইবেল হলো দিক নির্দেশিকা। আমরা যে কোন পথে যাচ্ছি তা বাইবেল আমাদের দেখিয়ে দেয়।
পাঠকঃ ‘শরু দরজা দিয়ে প্রবেশ করো। প্রশস্থ পথ ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। অনেকেই ঐ পথে চলার জন্য বেছে নিয়েছে। কিন্তু যে দরজা শরু ও পথটি সরল তা অনন্ত জীবনে নিয়ে চলে। অল্পসংখক ব্যক্তি ঐ পথ বেছে নেয়।’
পাঠকঃ ‘মসিহ বলেছেন; আমিই পথ, সত্য ও জীবন; আমাকে ছাড়া কেউই পিতার কাছে যেতে পারে না।’ (ইউহোন্না ১৪: ৬)
জীবন পথে চলতে গিয়ে আমরা যখন সমস্যার মোকাবেলা করি,যেমন কোনো অন্ধকার গুহা পথে চলতে গিয়ে কোনো মুক্তির পথ খোলা দেখতে না পাই, তখন আমরা বাইবেল থেকে সঠিক পথ ও দিকনির্দেশনা দেখে নিতে পারি, কেননা এটি একটি স্বচ্ছ আলো, দিকনির্দেশক উজ্জল আলো।
আমার মসীহ হলেন সর্বোওম শিক্ষক জীবন পথের স্কুলে অর্ধ্যয়ন করার সময়। তিনি আমাদের সাথে জীবন পথে সংগ নিয়ে থাকেন। যখনই তুমি পতিত বা পথচ্যুত, অথবা কোনো দুর্ঘটনায় পড়েছো, তিনি সবসময় তেমার সাথে সাথে থাকেন। তোমাকে একাকি অসহায় অবস্থায় কখনোই ছেড়ে দেবেন না। এটাই তার প্রতিজ্ঞা।
পাঠকঃ ‘তোমার সমস্যার সময় আমাকে স্মরন করো; আমি তোমাদের রক্ষা করবো। আর তোমরা আমাকে মান্য করে চলবে।’
প্রার্থনা হলো সর্বোত্তম জরুরী ব্যবস্থা, কাজে লাগাও! আমি কামনা করি তোমার জীবন পথের যাএা সুন্দর হোক। থামো! পরবর্তী নাটকে আমরা আবার চলতে থাকবো।
লোকবলঃ ভাষ্যকার, বালিকা, বালক, পাঠক
© Copyright: CEF Germany