Home -- Bengali -- Perform a PLAY -- 118 (Sled crash 2)
118. বরফের গাড়ি ভেঙ্গে গেল-২
তুমি কি স্লেজ গাড়িতে করে স্কুলে যাবে না স্কুলের বাসে যাবে? আনিতি ও লুকাস সুইজারল্যান্ডের আলপ্স পর্বতে বাস করতো। প্রত্যেকদিন সকালে স্লেজে করে উপত্যকায় যেত। তবে তারা একত্রে যেত না, কারণ একজন অন্যজনকে সহ্য করতে পারতো না। একজন অন্যজনকে সহ্য না করার কারণ কি ছিল? আর ঘটনাটি ঘটলো মঙ্গলবার, আসলে লুকাস চাচ্ছিল না এমনটা ঘটুক। তার ইচ্ছাও ছিল না। সে যখন দ্রুত ছুটে যাচ্ছিল তখন তার স্লেজটি আনিতির স্লেজের সাথে সজোরে আঘাত হানলো ফলে উভয় গিয়ে অধিত্যকায় ফেঁসে গেল।
আনিতিঃ ‘তুমি একটা অবোধ। সাবধান হতে পারো না? তোমার মাথায় কি চোখ নেই?’
লুকাসঃ ‘আনিতি, আমি অত্যন্ত দুঃখিত। একটু অপেক্ষা করো, আমি তোমাকে সাহায্য করছি।’
আনিতিঃ ‘আমাকে একা সামলাতে দাও! তোমার সাহায্য ছাড়াই আমি উপরে উঠতে পারবো।’
লুকাসঃ ‘অতোটা উত্তেজিত হইয়োনা, হে অবোধ বালিকা।’
ভিজা বই নিয়ে ঠান্ডায় হাড় কাপুনি ধরে গেছে, আনিতি অনেক বিলম্বে স্কুলে আসলো।
শিক্ষকঃ ‘আনিতি, তোমার কি হলো?’
আনিতিঃ ‘সবই লুকাসের জন্য ঘটেছে। সে জোর করে আমাকে অধিত্যকায় ঠেলে দিয়েছে। তারপরে সে আমাকে একা ফেলে দৌড়ে চলে এসেছে।’
আনিতির জন্য সকলে আপশোস করলো, আর রাগত চোখে লুকাসের প্রতি তাকিয়ে রইল। কেউই জানলো না যে অন্তরে আনিতিও লুকাসের মতোই খারাপ। সকলে আনিতির মতো ভালো সহপাঠির প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করলো কারণ তার ইঞ্জিন ছিল না।
লোকজন বাহিরে দিকটাই দেখে থাকে, কিন্তু খোদা আমাদের অন্তরের খবর রাখেন। নিঃশব্দ কণ্ঠস্বর আনিতি ও লুকাস উভয়কে বললো পাপ ঘৃণা করতে। দুজনের মধ্যে কেউই চাইলো না প্রথম পদক্ষেপ নিতে। তারপর তাদের সম্পর্ক আরো জটিল হয়ে ওঠলো।
বসন্তের শুরুতে যখন বরফ গলতে আরম্ভ করলো, লুকাস ড্যানির সাথে দেখা করতে গেল, ড্যানি তখন তার বিড়াল ছানা নিয়ে পর্বতে খেলতে ছিল।
লুকাসঃ ‘কি করছো?’
ড্যানিঃ ‘আনিতির জন্য ফুল তুলছি।’
লুকাসঃ ‘ভালো, ভালো, আনিতির জন্য। তোমার বোন তো বোবা!’
লুকাস ড্যানির হাত থেকে ফুলের লতা ছিনিয়ে নিয়ে মাটিতে ফেলে দিল ও পায়ে দলে তা নষ্ট করে ফেলল।
ড্যানিঃ ‘আমি আমার বাবার কাছে নালিশ করবো।’
লুকাসঃ ‘না, তা তুমি করবে না।’
লুকাস ড্যানির হাত থেকে বিড়ালের বাচ্চাটি ছিনিয়ে নিয়ে গভীর গিরিখাতে ছুড়ে মারলো। তারপর সবকিছু বিদ্যুৎগতিতে ঘটে গেল। বরফে আচ্ছাদিত খাদে বিড়াল ছানাটি ফেঁসে গেল আর পাঁচ বৎসরের বয়সি বালক ওটাকে তোলার জন্য খাদে নেমে গেল। লুকাস আশ্চর্য হয়ে তার পিছনে নামতে লাগলো।
লুকাসঃ ‘ড্যানি! ড্যানি, তুমি কি এখানো জীবিত আছো? কথা বলো!’
কোনো জবাব পাওয়া গেল না। লুকাস চতুর্দিকে তাকিয়ে দেখলো, তারপর ছুটে বাড়ি ফিরে এলো। সে নিজেকে খোয়ারে লুকালো, কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো। তারপর কি হলো? পরবর্তি নাটকে তা জানতে পারবে।
লোকবলঃ ভাষ্যকার, আনিতি, লুকাস, শিক্ষক, ড্যানি
© Copyright: CEF Germany