Home -- Bengali -- Perform a PLAY -- 165 (The secret place is taken 3)
165. গোপন স্থান ফিরে পাওয়া-৩
রূথ (উত্তেজিত): ‘খালা মার্গারেট, মিসেস বরিঞ্জার আমাকে সেখানে নিমন্ত্রন জানিয়েছেন। আগামি রোবার আমাকে তাঁর জমজ সন্তানদের নিয়ে হাটাহাটি করতে হবে। আমি কি পারি? দয়া করে ইতিবাচক জবাব দাও!’
খালা মার্গারেটঃ ‘দুর্ভাগ্যবশতঃ এ প্লানটি কার্যকর হবে না। আমি মিসেস মিলারকে ওয়াদা করেছি যে তুমি তার ভাগ্নির সাথে খেলা করবে।’
রূথঃ ‘কিন্তু আমি তা চাই না। আমি তাকে ঘৃণা করি! যেখানে আমার মন চায় সেখানে আমি চলে যাব।’
খালা মার্গারেটঃ ‘রূথ, তোমার কক্ষে চলে যাও। আমি মনে করেছিলাম যে তুমি বদলে গেছ।’
রূথঃ ‘আমার কিছুই এসে যায় না!’ (দরজা সজোরে বন্ধ করার শব্দ)
আসলের রূথের চিন্তা রয়েছে। সে নিজেকে বিছানার উপর ছুড়ে মেরে ভীষণ কান্না জুড়ে দিল।
খালা মার্গারেটঃ ‘রূথ, তোমার কি হয়েছে?’
রূথ (নরম সুরে): ‘আমি আবার খারাপ হয়ে গেছি। উত্তম রাখাল এখনও কি আমাকে ভালোবাসে? খালা মার্গারেট তুমি কি মনে করো তিনি আমাকে পুনরায় ক্ষমা করবেন?’
খালা মার্গারেটঃ ‘রুথ তোমার কি হয়েছে?’
রুথঃ ‘(নরম সুরে) আমি আবার খারাফ হয়ে গেছি। উত্তম রাখাল এখনো কিত আমাকে ভালবাসে? খালা মার্গায়েট তুমি কি মনে করো তিনি আমাকে পূণরায় ক্ষমা করবেন?’
খালা মার্গায়েটঃ ‘অবশ্যই রুথ। তুমি যদি আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত হয়ে থাকো আর প্রভু মসীহের কাছে মাগফেরাত কামনা করে থাকো, তাহলে তিনি অবশ্যই ক্ষমা করে দিবেন।’
রুথ প্রর্থনা করলো। আর সে তার খালাকে অনুরোধ জানালো তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য। তার পর সে ঘুমিয়ে পড়লো সুস্থ চিন্তা নিয়ে, প্রত্যাশায় রইলো পরের দিন দেখার জন্য।
রুথ ও ফিলিপ তাদের গোপনরহস্যপূর্ণ স্থান ওয়াইল্ডেন বনে যাবার পরিকল্পনা নিল।
অতিপ্রত্যুষে সহোদর রওয়ানা দিল।
তাদের তাবু ঘন রংয়ের কারণে মনে হচ্ছিল সবসময়ই ওটা ওখানে ছিল। ফিলিপ হামাগুড়ি দিয়ে তাবুর মধ্যে প্রবেশ করলো, কিন্তু সাথে সাথে সে বাহির হয়ে এলো।
ফিলিপঃ ‘কিছু একটা ভিতরে আছে! ওহে, এখন বাহির হও! এটা আমাদের কুড়ে ঘর।’
টেরিঃ ‘তোমাদের নোংরা কুড়ে ঘরে আমার প্রয়োজন নেই। এর চেয়ে উত্তম একটা আমি তৈরি করে নিতে পারি।’
জীর্ণ পোশাক ও ছেড়াপাতলুন পরিহিত একটা বালক হামাগুড়ি দিয়ে তাবু থেকে বাহির হলো। তার বয়স ১০ নাগাদ হবে। সাথে সাথে ফিলিপ ও রূথ তাকে পছন্দ করলো। সে তাদের উত্তম বন্ধুতে পরিণত হলো। তারা তাদের পিকনিক টেরিকে ভাগ দিল আর টেরি বনের মধ্যে অনেকগুলো রহস্য তাদের কাছে প্রকাশ করলো।
টেরি বানরের মতো গাছে চরতে পারে। কোনো বৃক্ষই তার কাছে অতি উচ্চ মনে হয় না।
ফিলিপঃ ‘থামো, টেরি! এমন আর করো না। ঐশাখাটা খুবই চিকুন!’
(শাখা ভাঙ্গার শব্দ) তারপর শাখাটি ভেঙ্গে টেরি ভূমিতে পড়ে গেল। নিশ্চয় সে সেখানে পড়ে রইলো।
ফিলিপঃ ‘রূথ, আমার মনে হয় সে এখন পর্যন্ত জীবিত আছে। তার কাছে থাকো, আমি সাহায্যের ব্যবস্থা করি।’
রূথ ভয় পেল টেরির অবস্থা দেখে, সে প্রার্থনা জুড়ে দিল।
রূথঃ ‘প্রভু মসিহ, টেরি যেন মারা না যায় সেদিকে সাহায্য করো। তোমার বিষয়ে আমি তার কাছে বলবো যেন সে তোমার মেষের একজন হতে পারে।’
শেষ পর্যন্ত সাহায্য এসে পড়লো। সাবধানে টেরিকে আহত ব্যক্তি বহন করার খাটে শুইয়ে দেয়া হলো আর তাকে পৌছে দেয়া হলো হাসপাতালে।
ফিলিপঃ ‘রূথ, তুমি কি মনে করো টেরি মারা যাবে?’
পরবর্তি নাটকে তা দেখতে পাবে।
লোকবলঃ ভাষ্যকার, রূথ, খালা মার্গারেট, ফিলিপ, টেরি
© Copyright: CEF Germany