Home -- Bengali -- Perform a PLAY -- 066 (He’s finally here)
66. পরিশেষে তিনি এখানে আছেন
শুভ: ‘আসলে কখন তিনি আসবেন?’
শুভ আর অপেক্ষা করতে পারছিলনা। বারবার জানালার কাছে ছুটে যাচ্ছিল তাকে দেখার জন্য।
শুভ: ‘মা, বাবা কখন বাড়িতে ফিরে আসবেন?’
মাতা: ‘অনেকটা সময় লাগতে পারে। তার কাজের জন্য যে যাত্রা করেছিল সেখান থেকে অদ্য ফিরে আসার কথা। আশা করি ফিরতি পথে ট্রাফিক জ্যামে আটকা পড়েন নি।’
শুভ: ‘আমার জন্য একটা নতুন কম্পিউটার খেলা নিয়ে আসবে। যদি এখনই ফিরে আসতেন তবে মজা হতো!’
তিনি ফিরে আসলেই মজা হতো! ইস্রায়েলের বাসিন্দাগণ ঠিক একইভাবে যুগ যুগ ধরে অপেক্ষা করছিলেন। তারা সাগ্রহে প্রত্যাশাসহ অপেক্ষা করছিলেন শিঘ্রই খোদার প্রাতিজ্ঞাত নাজাতদাতা ফিরে আসবেন। আন্দ্রিয় যেন আর অপেক্ষা করতে পারছিল না। তিনি এমন একজনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন যিনি তাদের জন্য শান্তি ও নাজাত বয়ে আনবেন। তিনি ইউহোন্নার সঙ্গ খুবই পছন্দ করতেন। তিনি সদা তার বিষয়ে কথা বলতেন এবং তাকে তিনি দেখতেও পেয়েছেন।
এক সময় আন্দ্রিয়ে জীবনে অপূর্ব সৌভাগ্যের দিন হাজির হলো। তিনি ইউহোন্নার সাথে জর্দান নদীতে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং যখন ইউহোন্না হঠাৎ চিৎকার করে উঠলো:
ইউহোন্না: ‘দেখ দেখ, তিনি আসছেন, তিনি এখানে, তিনি মসিহ! প্রতিজ্ঞাত নাজাতদাতা।’
মসিহ যে স্থানে দাঁড়িয়ে ছিলেন আন্দ্রিয় সেই দিকে তাকালেন।
আন্দ্রিয়: ‘ওখানে উনি দাঁড়িয়ে আছেন! শেষতক তিনি এখানে এলেন।’
আন্দ্রিয় মসিহকে জানতে চেয়েছিলেন। তিনি বন্ধুকে নিয়ে মসিহের সাথে হেটে গিয়েছিলেন। মসিহ সঠিকভাবেই জানতেন, কে যে তাকে সত্যিকারার্থে খুঁজে বেড়ায় আর কে তার সাথে হতে চায় পরিচিত। তিনি তাদের দিকে ঘুরে প্রশ্ন করলেন:
মসিহ: ‘তোমরা কিসের খোঁজ করছো? তোমরা কি চাও?’
আন্দ্রিয়: ‘আপনি কোথায় থাকেন?’
মসিহ: ‘আমার সাথে এসো তোমাদের দেখাবো।’
আনন্দের আতিশয্যে ও উত্তেজনায় তারা মসিহের সাথে গেলেন। তিনি যেখানে থাকতেন তা তারা দেখলেন এবং সেখানে সারাদিন তাঁর সাথে থাকলেন।
মসিহের সঙ্গলাভ মহানন্দের বিষয়। তোমাদের কি তেমন আনন্দ জাগে? আন্দ্রিয় আনন্দে উচ্চকিত হতে পারতেন। তার সুযোগ ছিল অন্য কারো সাথে চুড়ান্ত আনন্দ প্রকাশ করার। এ খবর অন্য কারো কাছে পৌছে দেয়ায় পাওয়া যায় আনন্দ। আজ কার কাছে মসিহের বিষয় তুমি প্রচার করবে? আন্দ্রিয় সর্বপ্রথম তার ভাইকে এ খবর দিয়েছিলেন।
আন্দ্রিয়: ‘সায়মন, আমরা তাঁকে পেয়েছি! সায়মন তার ভাইকে বিশ্বাস করতেন তাই ভাইয়ের সাথে মসিহের কাছে গেলেন।’
আন্দ্রিয়ের উৎফুল্লতা ছিল প্রভাব বিস্তারকারী। সায়মন তার ভাইকে বিশ্বাস করলো তাই তার সাথে মসিহের কাছে গেলেন। মনে হচ্ছিল মসিহ তাদের আগমনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। মসিহ তার ভাইয়ের নাম পর্যন্ত জানতেন।
মসিহ: ‘তুমিই সায়মন। কিন্তু এখন থেকে তোমার নাম হবে পিতর।’
একটি নতুন নাম। এর অর্থ হলো মসিহ তাকে একজন নতুন মানুষে পরিণত করবেন। মসিহকে পাওয়াতে এবং তার পথে ও সঙ্গে চলার ফলে আমরা নতুন মানুষ রূপে পরিণত হয়ে উঠি। আর সে জন্য আমাদের সাহস জাগে কেননা তিনি আমাদের পরিবর্তন করে তুলছেন।
লোকবল: ভাষ্যকার, শুভ, মা, ইউহোন্না, আন্দ্রিয়, মসিহ
© Copyright: CEF Germany