Home -- Bengali -- Perform a PLAY -- 054 (Someone cries, the others smirk 2)
54. কারো কান্নায় কপটের হাসি-২
উত্তর ইস্রায়েল বাড়ি থেকে অনেক দূরে দশ ভাই তাদের পিতার মেষ পাল চরাচ্ছিলেন। (মেষের আওয়াজ থাকবে)। ছোট ভাইয়ের উপর হিংসা তাদের অস্থির করে তুলছে।
১ম ভ্রাতা: ‘স্বপ্নদর্শক ইউসুফ বর্তমানে কি করছে?’
২য় ভ্রাতা: ‘মনে হচ্ছে খোদা তাকে একজন প্রসিদ্ধ ব্যক্তি হবার জন্য স্বপ্নযোগে জ্ঞাত করেছেন। আর আমরা নত হয়ে তাকে সম্মান জানাতে বাধ্য থাকবো। হাসি পায়, সবচেয়ে তামাশার ঘটনা আজ শুনতে হলো।’
১ম ভ্রাতা: ‘আমার চিত্ত এখন পর্যন্ত হিংসায় জ্বলে যাচ্ছে, পিতা সেই সুন্দর যুব্বাটা তাকে দিয়ে দিলেন।’
২য় ভ্রাতা: ‘ওই বিষয় নিয়ে আর কথা বলো না। উক্ত ঘটনা কেবল আমাদের উত্তেজিত করে তোলে। পালের জন্য তরতাজা ঘাস অনেক গুরুত্ববহ।’
বাড়িতে পিতা তার সন্তানদের নিয়ে চিন্তা করছেন।
পিতা: ‘ইউসুফ, তোমার ভাইদের নিয়ে আমার চিন্তা হচ্ছে। আসলে কি তারা সুস্থ সবল আছে কিনা? হয়ত বুনো জানোয়ার মেষের উপর আক্রমন করছে। তাদের কাছে যাও এবং দেখে আস তারা ভালো আছে কিনা।’
ইউসুফকে পাঁচবার বলতে হলো না তাঁর করণিয় কাজের বিষয়। কোনো আপত্তি না করেই পিতার আজ্ঞা তাৎক্ষণিক পালন করলো। ইউসুফকে অনেক মাইলের পথ হেটে যেতো হলো। তার ভাইয়েরা দূর থেকেই তাকে আসতে দেখলো।
১ম ভ্রাতা: ‘দেখ স্বপ্ন দ্রষ্টা আমাদের কাছে আসছে। চলো আমরা তাকে মেরে ফেলি।’
২য় ভ্রাতা: ‘হত্যা করো না বরং তাকে কুয়োর মধ্যে ফেলে দেই।’
বড় ভাই রূবেনের একটা খারাপ বিবেক ছিল। সে তার ভাইকে বাঁচাত চেয়েছিল। ইউসুফ নিকটে এগিয়ে আসছে, সে কিছুই জানতে পারে নি তাদের ধ্বংসাত্মক ও মারাত্মক কুট চালের বিষয়ে।
ইউসুফ: ‘তোমাদের উপর শান্তি হোক প্রিয় ভ্রাতাগণ! তোমরা কেমন আছো?’
১ম ভ্রাতা: ‘তাতে তোমার সাথে আমাদের কোনকিছু করার নেই। এই মুহুর্তে কোর্তাটা আমাকে দিয়ে দাও। তারপর আমরা তোমাকে দেখাবো কুপের তলদেশ থেকে দেখতে কেমন লাগে।’
ইউসুফ: ‘না তা হবে না! আমাকে যেতে দাও! আমি কোন অপরাধ করেছি যার জন্য তোমরা এমন আচরণ করছো?’ (পতনের শব্দ হবে)
ভাগ্যক্রমে কুয়োর মধ্যে কোনো জল ছিল না। কিন্তু কুপটি এতটা গভীর ছিল যে সেখান থেকে ইউসুফ নিজের চেষ্টায় নিজেকে মুক্ত করা সম্পূর্ণ অসম্ভব বিষয় ছিল।
ইউসুফ: ‘আমাকে বাঁচান! বাঁচান! এখান থেকে আমাকে উদ্ধার করুন! আমাকে সাহায্য করুন! আমি বাহির হতে চাই। তোমরা কি আমার আর্তনাদ শুনতে পাচ্ছ? আমাকে সাহায্য করো!’
তার ভাইয়েরা ছায়ায় বসে কিছু খাচ্ছিল আর কপট হাটি হাসতেছিল। সে পথে উটের যাত্রী এসে হাজির হলো। তারা ছিল বণিক এবং তাদের বিক্রয়যোগ্য মালামাল মিশরে নিয়ে যাচ্ছিল।
১ম ভ্রাতা: ‘আমার মাথায় একটা পরিকল্পনা জেগেছে। ইউসুফকে আমরা বিক্রি করে দেই।’
২য় ভ্রাতা: ‘চমৎকার বুদ্ধি, যিহুদা। তখন আমরা ওর হাত থেকে খালাস পাব, আর উক্ত টাকা আমরা আমাদের মধ্যে ভাগ করে নিতে পারবো।’
কেনা-বেচা সম্পন্ন হলো। ভাইয়েরা ইউসুফকে ২০ রৌপ্য মুদ্রার বিনিময়ে মরুযাত্রীদের কাছে বিক্রি করে দিল। তারা ইউসুফের সুন্দর যুব্বাটা রেখে দিল যা তাদের পিতাকে দেখাতে পারবে। যুব্বাটা রক্ত মেখে নিয়েছিল।
১ম ভ্রাতা: ‘পিতা, আমরা এ যুব্বাটা পেলাম। এটা ইউসুফের যুব্বা নয় কি?’
পিতা: ‘অবশ্যই। কোনো বুনো হিংস্র পশু তাকে ছিন্নভিন্ন করে ছেড়েছে। সে মারা গেছে! আমার পুত্র ইউসুফ মারা গেছে!’
তারা তাদের পাপ মিথ্যার দ্বারা আবৃত করেছিল, আর পিতা তা বিশ্বাস করেছিলেন।
তাদের হৃদয় থেকে শুধু মন্দ চিন্তাই বাহির হতো। কিন্তু খোদা উক্ত মন্দ চিন্তার ফল ইউসুফের জন্য কল্যাণবাহী করে তুললো।
আমি উৎসাহিত নাটকের এ বিষয়টি কোথায় নিয়ে পৌছাবে। তোমরাও কি উৎসাহিত?
লোকবল: ভাষ্যকার, দুই ভাই, ইউসুফ, পিতা
© Copyright: CEF Germany