Home -- Bengali -- Perform a PLAY -- 129 (Shabola from South Africa)
129. দক্ষিণ আফ্রিকার শাহবোলা
(হাতুড়ির আঘাতের শব্দ)
পিতাঃ ‘শাহবোলা, তুমি সুন্দরভাবেই কাজটি করেছো।’
শাহবোলাঃ ‘আমি বাজি ধরে বলছি তাতে তোমার পেষি ফুরে যাবে। উহ! উহ! আমার পায়ের অবস্থা এমনিই।’
পিতাঃ ‘তুমি হাতুড়ি ধরার শক্তিও হারিয়ে ফেলেছো। খানিকটা বিশ্রাম নাও, তারপরে ময়লার ঘরটা তৈরি করার শক্তি ফিরে পাবে।’
ছায়ার শোহবোলা বসে পড়লো। দূরে বানরের চিৎকার শুনতে পেল। তার পিতা সাউথ আফ্রিকায় কুড়ে ঘর নির্মান করে চলছেন। ওটা কি গ্রামে মিশনারি এলাকার ঘরের মতো সুন্দর হবে?
পিতাঃ ‘আবার কাজে লেগে যাও, শাহবোলা।’
পিতাকে সাহায্য করার মধ্যে রয়েছে আনন্দ, তবে তিনি অধিক পছন্দ করে আমার স্কুলে যাওয়াটা।
পরের দিন সকালে পিনাট বাটার ও কর্ণমিল দিয়ে সকালের নাস্তা সেরে স্কুলে চলে গেল। ইমফুন্ডিস তার পছন্দ, শিক্ষকের নাম জিম্বাবুয়ের ভাষায় উমফুন্ডি বলা হয়। সব কটা ছেলে মেয়ে তাকে ভালোবাসে। শাহবোলার বেশি পছন্দ হলো তাঁর ধর্মিয় ক্লাস। কোকড়ানো চুলের কালো ছেলেটি খুব ভালোবাসে তাকে, বিশেষ মনোযোগের সাথে তাঁর সব কথা শুনে থাকে।
শিক্ষকঃ ‘একটি ছোট উন্মক্ত মেষ পালিয়ে হারিয়ে গেল। মেষ পালক বাকিদের মাঠে যথাস্থানে রেখে হারানোটি খুঁজতে বের হলো, যতক্ষণ পর্যন্ত তা না পাওয়া যায় সে খুজেই চললো। সে কাটাঝোপ ঝাড়ের মধ্য থেকে বের করে আনলো, আর নিজের বাহুতে করে বয়ে বাড়িতে নিয়ে আসলো। ঈসা মসিহ হলেন উত্তম মেষ পালক। তিনি বেহেশত থেকে ধুলির ধরনিতে নেমে এসেছেন।’
শাহবোলাঃ ‘উমফুন্ডি, আমিও হারিয়ে যাওয়া মেষ। মসিহ কি আমাকেও খুঁজে ফিরছেন?’
শিক্ষকঃ ‘অবশ্যই, তিনি তোমাকেও খুঁজে ফিরছেন কেননা তিনি তোমাকে মহব্বত করেন। যখনই তুমি তার সঙ্গ চাও তাকে বলতে পারো তখনই।’
একদিন শাহবোলা ক্লাসে যায় নি। ঐ সকালে সে বিছানা থেকে উঠতে চাইলো, কিন্তু তার জ্বর ও কাপনি ওঠেছিল।
মাতাঃ ‘শাহবোলা, তোমার অনেক জ্বর হয়েছে। আমি মন্ত্রবেত্তা ডাক্তার ডাকতে যাচ্ছি।’
শাহবোলা (দুর্বল কণ্ঠে): ‘সে আমার কোনো সাহায্যে আসবে না।’
শাহবোলা খুবই অসুস্থ হয়ে পড়লো, কথা বলাও কষ্টকর হয়ে দাঁড়ালো। রবিবার তার শিক্ষক তাকে দেখতে আসলেন।
শিক্ষকঃ ‘শাহবোলা, তুমি খুবই অসুস্থ। যদি সময় হয় তবে তুমি কি মারা যেতে প্রস্তুত আছো?’
শাহবোলাঃ ‘ঈসা মসিহ হলেন আমার উত্তম রাখাল। দ্রুত তিনি আমাকে বেহেশতে তাঁর কাছে তুলে নেবেন।’
শাহবোলা তার চোখ বন্ধ করলো আর তা কোনোদিন খুললো না। তার অন্তেষ্টিক্রিয়ার সময়, উম্ফুন্ডি ভালো মেষ পালকের গল্পটি শুনালেন।
রোববার তার পিতা প্রার্থনায় বসলেন, প্রার্থনা করলেন।
পিতাঃ ‘প্রভু মসিহ, শাহবোলা এখন তোমার কাছে আছে। তোমার কাছে সে আরামেই আছে। আমিও তোমার হতে চাই। আমার সকল পাপ ক্ষমা করো আর আমার উত্তম রাখাল হও, আমিন। উম্ফুন্ডি, অন্যান্যদের মতো আমি শোকার্ত নই কেননা আমি জানি কোনো একদিন শাহবোলাকে আমি বেহেশতে দেখতো পাবো।’
লোকবলঃ ভাষ্যকার, পিতা, মাতা, শাহবোলা, শিক্ষক
© Copyright: CEF Germany