Home -- Bengali -- Perform a PLAY -- 137 (The destination indicator 5)
137. লক্ষ্যবিন্দু নির্দেশিকা-৫
বালিকাঃ ‘জীবনধর্মী শিক্ষা ৪র্থ অধ্যায়। লক্ষ্যবিন্দু নির্ধারক।’
(ট্রাফিক দায়িত্বের শব্দ)
লিনাঃ ‘এখন কোন পথে?’
কেথিঃ ‘নিশ্চই এটা হাস্যকর। নির্দেশিকা সহজলভ্য বুলেটিন বোর্ডের উপর ভেসে আছে।’
লিনা (অভিযোগের সুরে): ‘সাব্বাস! আমরা এখন কি করতে যাচ্ছি?’
কেথিঃ ‘ওখানে দিকনির্দেশিকার একটা প্যানেল বোর্ড আছে।’
বালিকারা কি গন্তব্যে পৌছাতে পেরেছে কিনা? দিক-নির্দেশিকা থাকটা খুবই ভালো। কেবল রাস্তার পাশেই নয়, আমাদের জীবন পথে চলার জন্যও এটা অত্যাবশ্যক। তোমরা কি জানতে খোদা আমাদের জীবন পথে চলার জন্য কতকগুলো দিক-নির্দেশিকা দিয়েছেন?
বালকঃ ‘ঐ চিহ্নগুলো দেখতে কেমন লাগে?’
ওগুলোর হাত পা আছে, মুখ ও কান আছে, যেমন ফিলিপ। এই দিক-নির্দেশক কেবলমাত্র খোদার পথ জানেন। এ পথের বিষয়ে সে সুন্দরভাবে বর্ণনা দিতে পারে। সে বহুজনকে মসিহের পথে করেছেন পরিচালনা।
ফেরেশতাঃ ‘ফিলিপ, জেরুজালেম থেকে গাজার যে পথ চলে গিয়েছে সে দক্ষিনের পথে চলে যাও। তোমাকে খোদার প্রয়োজন আছে। তুমি কি মসিহের কাছে পৌছার দিক-নির্দেশিকা হতে চাও?’
সে এমন কথা বলে নাই; আমি এমন কিছু ভাবছি না। উক্ত রাস্তায় সে একা ছিলেন না, উক্ত রাস্তা দিয়ে ইথিওপিয়ার রানির অর্থমন্ত্রিও তাঁর রথে চড়ে উক্ত পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। উক্ত ব্যক্তি ১২০ মাইল দূর থেকে জেরুজালেমে খোদার এবাদতের জন্য ছুটে আসছিলেন। জেরুজালেমে অত্যন্ত মূল্যবান গুটানো কিতাব তিনি নিজের জন্য ক্রয় করেছিলেন। যাত্রাকালে তিনি কিতাবের অংশ স্বশব্দে তেলোয়াত করছিলেন।
ফিলিপ দ্রুত রথের কাছে এগিয়ে গেলেন।
ফিলিপঃ ‘আপনি যা পাঠ করছেন তা কি আপনি বুঝতে পারেন?’
অর্থমন্ত্রীঃ ‘না, আমার কাছে কেউ নেই যে পঠিত বিষয় বুঝিয়ে দিতে পারে। আপনি আসুন, আমার কাছে বসুন, বুঝিয়ে দিন উক্ত বিষয়ে।’
ফিলিপঃ ‘আপনি মসিহের বিষয়ে পড়ছিলেন। খোদার কাছে পৌছে যাবার তিনি একাই পথ। তাঁর উপর বিশ্বাস করুন, তিনি আপনাকে আপনার লক্ষ্যবিন্দুতে পৌছে দিবেন, ইহজগত ও পরজগতে।’
অর্থমন্ত্রীঃ ‘আমি বিশ্বাস করি ঈসা মসিহ খোদার পুত্র।’
লিফিপ দিক-নির্দেশক যিনি মসিহের প্রতি নির্দেশ দান করেন। আর অর্থমন্ত্রী তার নির্দেশনা অসুরণ করলেন।
তাঁর হৃদয় সঠিক পথ খুঁজে পেল। আনন্দের সাথে তিনি বাড়ি ফিরে গেলেন, আর এটুকুই আমরা জানি তাঁর বিষয়ে।
আমি আশা করি খোদার পথে যাবার একমাত্র পথের বিষয়ে তোমরাও জানতে পেরেছে আর মসিহের পক্ষে দিক-নির্দেশনার কাজে হচ্ছে ব্যবহৃত, ঘরে, স্কুলে ও তোমাদের বন্ধুদের কাছে। কোনো এক সময় জার্মানিতে মসিহের পক্ষে তেমন দিক-নির্দেশক অত্যন্ত আবশ্যক হয়ে আছে। তবে আফ্রিকা ও এশিয়াতেও তেমন দিক-নির্দেশকের আবশ্যকতা রয়েছে সদাসর্বদা।
লক্ষ্যকোটি জনতার কোনো পথ প্রদর্শক নেই। তারা আজ পর্যন্ত শুনতে পায় নি যে খোদাবন্দ হযরত ঈসা মসিহই খোদার কাছে পৌছার একমাত্র পথ।
লোকবলঃ ভাষ্যকার, বালক, বালিকা, কেথি, ফেরেশতা, ফিলিপ, অর্থমন্ত্রী
© Copyright: CEF Germany