Home -- Bengali -- Perform a PLAY -- 119 (Dani fell 3)
119. ড্যানির পতন-৩
দাদি পাকঘরের ঘড়ির দিকে তাকালেন। ইতোপূর্বে ড্যানির তো বাড়ি থাকার কথা। তিনি নিরবে প্রার্থনা করে চললেন, ততক্ষণে আনিতি ও তার বাবা ড্যানির খোঁজে পাহাড়ে পৌছালো।
পিতাঃ ‘ড্যানি! ড্যানি, তুমি কি আমাদের কথা শুনতে পাও?’
আনিতিঃ ‘পাপা, লুকাস নিশ্চয়ই এর মধ্যে কিছু ঘটিয়েছে। আমি দ্রুত ছুটে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করবো।’
আনিতি উর্ধ্বস্বাসে প্রতিবেশির বাড়িতে পৌছালো আর সোজা গিয়ে খোয়ারে খুঁজলো। ক্ষিপ্রতার সাথে বুনো বিড়ারের মতো মই বেয়ে উপরে উঠে সোজা লুকাসের উপর ঝাপিয়ে পড়লো, লুকাস তখন কাঁদতেছিল।
আনিতিঃ ‘ড্যানি কোথায়? তাকে কোথা ফেলে দিয়েছো?’
লুকাসঃ ‘আমি জানিনা সে কোথায় আছে। এতে আমার কোনো দোষ নেই।’
আনিতিঃ ‘তোর কিতে দোষ নেই? সে কোথা আছে আমাকে বল নতুবা আমি পুলিশ ডাকবো।’
লুকাসঃ ‘ড্যানি মারা গেছে।’
আনিতির মুখ মারাত্মকভাবে সাদা হয়ে গেল। সে তখন লুকাসের পিছনে দৌড়ালো কেননা লুকাস ড্যানিকে পাহাড়ি নদীর কাছে নিয়ে গিয়েছিল আর তথায় সে পড়ে গিয়েছিল। পিতা তখন একটি রশি বেধে উপত্যকার ফাটলে নেমে গেলেন। একটা পাথরের উপরে মারাত্মকভাবে জখম হওয়া পা নিয়ে ড্যানি পড়েছিল।
পিতাঃ ‘ড্যানি বেঁচে আছে! সে গর্জনশীল শ্রোতের অতলে ডুবে যায় নি।’
আনিতি ততক্ষণে বাবাকে দেখলো ড্যানিকে সঙ্গে করে উপত্যাকা থেকে উঠে আসছে সাথে বিড়াল ছানাটিও বাঁচালো। খোদা ড্যানির জীবন রক্ষা করলেন। হাসপাতালের উন্নত চিকিৎসা সেবা সত্ত্বেও তাকে ক্রাচ ব্যবহার করে হাটতে হবে।
আনিতিঃ ‘লুকাসই একমাত্র দোষি!’
আনিতি কি ঠিক বলেছে? সে লুকাসকে ঘৃণা করতো আর এ ঘটনার পর থেকে তার উপর অধিক ক্ষিপ্ত হয়ে পড়লো। তার হৃদয়ে কোনো স্থান ছিল না পিতা যে বিষয়ের উপর বাইবেল নিয়ে পাঠ করেছেন তাতে। মসিহ যে আমাদের সকলকেই মহব্বত করেন ও ক্ষমা করে দিবেন এবং তিনি যে সকলকেই মহব্বত করেন সে বিষয়ে তার কোনো আগ্রহ জাগল না। ক্ষমা? না সে ক্ষমা চায় না, তাকে প্রতিশোধ নিতেই হবে।
একদিন আনিতি তার প্রতিবেশির সিড়িতে সুন্দরভাবে বাকানো ঘোড়া দেখতে পেলো। সে প্রশংসা করলো ঘোড়াটির কেশর ও খুর দেখে। এটা খুবই যতœসহ করা হয়েছে।
আনিতিঃ ‘আমি মনে করতে পারি না যে লুকাস ওটা পাবে। সে নিশ্চয়ই স্কুলের খেলাধুলার পুরষ্কার পাবার জন্য প্রতিযোগিতায় রাখবে। কিন্তু আমি তাকে বাধা দেব।’
(ভূমিতে গাছ পতনের ও পায়ের আঘাতের শব্দ)
হাতের এক আঘাতে চারুকাজ যা ছিল তা মাটিতে ফেলে ভেঙ্গে দিল। তার হৃদয়ে প্রচুর ঘৃণা জমাছিল আর তার কিয়দংশ তখন প্রকাশ পেল। আনিতি জানতো যে তার নিচু মন অপরাধের কারণ, কিন্তু সে ভাবতো লুকাস আমার চেয়ে অধিক খারাপ। গোপনে সে কেটে পড়লো।
পরবর্তি নাটকে তোমাদের জানাবে তারপরের সব ঘটনা।
লোকবলঃ ভাষ্যকার, পিতা, আনিতি, লুকাস
© Copyright: CEF Germany