Home -- Bengali -- Perform a PLAY -- 059 (Tears on Christmas 1)
59. বড়দিনে অশ্রু বিসর্জন-২
খ্রীষ্টিয় আবাসিক স্কুলের প্রত্যেকে ছুটিতে যাবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। টুরিয়া নিজেও বড়দিনের ছুটির কথা নিয়ে ভাবনায় পড়লো। তার পিতা তাকে নিতে আসলো। অনেক দূরের পথ ছিল বাড়ি থেকে। টুরিয়া ছুটির জন্য অনেক কিছুই চিন্তা ভাবনা করে রাখলো।
টুরিয়া: ‘বাবা, বাসেত কি আমাকে চিনতে পারবে? হাসান কেমন আছে?’
টুরিয়া খুবই খুশি তার সহোদরদের দেখতে পাবে বলে আর তার পোষা বিড়াল ও ছাগল দেখতে পাবে। যখন তারা নিজেদের গ্রামে পৌছালো, তখন তারা বারান্দায় মোমবাতি জ্বলতে দেখলো। বাহিরে জ্বলন্ত মোমের চারপাশে পতঙ্গ উড়তে দেখলো। কুপ থেকে যে মেয়েটি জল নিয়ে যাচ্ছিল সে সম্ভাষণ জানালো:
বালিকা: ‘হ্যালো, টুরিয়া! তুমি ফিরে এসেছো বলে আমরা খুবই খুশি। তুমি কেমন আছো? তোমার স্কুলের বিষয় কিছু বলবে কি?’
টুরিয়া: ‘অবশ্যই, তবে আগামীকাল। অনেক সময় হয়ে গেছে। আস আমাকে দেখ।’
টুরিয়ার পছন্দমতো খাবার প্রস্তুত করেছে তার মা। অনেক কিছুই বলার আছে। যদিও দীর্ঘদিন ধরে টুরিয়া দূরে রয়েছে, আর এখন তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। তবে একটি বিষয় আছে যা ভিন্নতর! সে উক্ত বিষয় নিয়ে চিন্তা করছে যখনই বিছানায় ঘুমুতে যায়।
আর তা হলো শুভ বড়দিন। গ্রামে কেউই বড়দিন উদযাপন করে না। কেবলমাত্র টুরিয়াই রয়েছে যে কিনা মসিহকে ভালোবাসে, সে বড়দিন উদযাপন করার ইচ্ছা প্রকাশ করলো। কিন্তু কি করে যে তা করতে হয় সে বিষয় টুরিয়া কিছুই জানে না।
টুরিয়া: ‘আমার একটি ধারণ জন্মেছে। কাল সকালে অতি প্রত্যুসে ঘুম থেকে জাগব এবং বাইবেল পাঠ করবো।’
কথা অনুযায়ী সে তাই করলো। ঘর থেকে বাহির হয়ে পাহাড়ে গিয়ে উঠলো। সেখানে সে একাকী বসে মরিয়ম, ইউসুফ এবং শিশু মসিহের বিষয়ে পাঠ করলো।
টুরিয়া: ‘মসিহ ধরাপৃষ্টে আগমন করলেন, কিন্তু তার নিজের লোকেরা তাকে গ্রহণ করলো না। মসিহ আসলেন কিন্তু বেথেলহেমের দরজা তার জন্য বন্ধ ছিল, আর আজকে হৃদয় দুয়ার রয়েছে বন্ধ।’
তুরিয়ার বয়স যখন ১০ বৎসর তখন সে মসিহকে তার হৃদয়ে আসতে অনুরোধ জানালো আর তাঁকে সে নাজাতদাতা হিসেবে বরণ করে নিল।
হাসান: ‘তুরিয়া, তোমাকে আমি খুঁজে ফিরছিলাম। তুমি কি পড়তেছো?’
সে যদি তার ভাইকে বলে যে সে বাইবেল পড়তেছে তবে কি সমস্যা হবে? তার জন্য তা মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। তথাপি সে বলে ফেললো। গোটা বিশ্বে শুভ বড়দিনের ঘণ্টাধ্বনি বেজে উঠছে। আর সেই সময় একটি ছোট বালক প্রথম বারের মতো মসিহের বিষয় শুনতে পেলো। শুভ বড়দিনের আনন্দ উদযাপন সুন্দরভাবে শুরু হলো, কিন্তু দিবসের শেষ প্রান্তে দেখা গেল অস্রুসজল নেত্র। কেন? পরবর্তি নাটকে আমি সে কথা তোমাদের বলবো।
লোকবল: ভাষ্যকার, বালিকা, টুরিয়া, হাসান
© Copyright: CEF Germany