Home -- Bengali -- Perform a PLAY -- 125 (Deadly arrow 2)
125. মারাত্মক তীর-২
যারা খোদার কথায় কর্ণপাত করে না তারা নিজেদের বিপন্ন করে তোলে।
একজনের সাহস ছিল সত্য কথা বলার। ৪০০ লোকের বিপক্ষে তিনিই সেই একজন।
মিখাঃ ‘রাজন আহাব, এ যুদ্ধ হোক তা খোদা চান না। খোদার নির্দেশনা অমান্য করার অর্থ হবে আপনি আপনার জীবন বিপন্ন করে তুলবেন।’
আহাবঃ ‘আপনি কি তা শুনতে পেরেছেন? তিনি আমাকে আমার মৃত্যু আদেশ দিয়েছেন। এখনই তাকে জেলখানায় পুরে দাও!’
রাজা আহাবের অন্তরে খোদার কথার জন্য স্থান ছিল না। সে তাঁর মাথায় সিদ্ধান্ত এটে নিয়েছিল যা হলো রামোথ শহর আক্রমন করা।
যে কেউ খোদার কথা অগ্রাহ্য করে সেই নিজের জীবন বিপন্ন করে তোলে। আহাবের গুপ্তচর জানালার কাছে দাঁড়িয়ে শত্রুর আক্রমনের পরিকল্পনা শুনে নিল।
গুপ্তচরঃ ‘কখন আমরা আহাব ও তার সৈন্যসামন্ত আক্রমন করবো, সৈন্যদের উপর গুলি করবে না কিন্তু রাজা আহাবের উপরে।’
কিন্তু আহাব চতুর ছিল।
আহাবঃ ‘রাজা জিহোশায়াফত, আমি ছদ্ম বেশধারণ করবো, কিন্তু আপনি রাজ পোশাকে পরিহিত অবস্থায় থাকবেন। তারপর আমরা একত্রে যুদ্ধে যাবো।’
রাজা জিহোশায়াফত তাদের সাথে চললেন। আমি বুঝতে পারছি না সাধারণত তিনি খোদার নির্দেশ ছাড়া কোনো কাজে যান না। এক্ষেত্রে কেন তিনি খোদার নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করলেন না। সাধারণত তিনি খোদার নির্দেশনা নিয়েই সব কাজ করে থাকেন। যুদ্ধটি মারাত্মক যুদ্ধ হয়ছিল। শত্রুরা রাজাকে তাক করে রেখেছিল। তুমি সহজেই বুঝতে পারবে যে কি ঘটেছিল। শত্রুরা রাজপোশাকে শুশোভিত জিহোয়াশাফতকে দেখতে পেল, তখন তারা তাকেই রাজা আহাব ভেবেছিল আর তাকেই তাদের লক্ষবস্তু স্থির করে আক্রমন করেছিল। জিহোয়াশাফত তার জীবন বাঁচানোর জন্য চিৎকার করেছিলেন। এবার প্রকৃত সত্য সে বুঝতে পেরেছে, ‘যে খোদার কথা অমান্য করে সে নিজেকে বিপন্ন করে তোলে’। জিহোশায়াফত মৃত্যুর কাছাকাছি এসে পৌছালো। কিন্তু খোদা শত্রুদের বন্ধ করে দিলেন জিহোয়াশাফতকে তাক করে তীর ছুড়তে।
একজন সৈন্য এলোপাথারি তীর ছুড়ে চললো, ফলে রাজা আহাব মারাত্মকভাবে জখম হলেন। সূর্য অস্তের সময় সে মারা গেল। সে তার জীবন হারালো কারণ সে খোদার বাক্যে কর্ণপাত করলো না। আর জিহোয়াশাফত চেতনা ফিরে পেলেন।
সে কি পুনরায় খোদার নির্দেশনার বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নিবে? যে কেউ খোদার অবাধ্য হয় সে নিজের জীবন বিপন্ন করে তোলে। রাজা জিহোয়াশাফত খোদার নির্দেশনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ দিতে গিয়েচিলেন। পরিশেষে এ জন্য সে অনুতপ্ত হলেন।
তোমার বন্ধুরাও যদি খোদার নির্দেশনার বিপরিতে চলতে চেষ্টা করে তবে তুমি তেমন মাছের মতো হও যে স্রোতের বিপরিতে চলে। কে কি বললো তাতে কিছু এসে যায় না। খোদার কথায় কর্ণপাত করো। তোমার পরামর্শ তেমন লোকদের কাছ থেকে পেতে চেষ্টা করো যারা মসিহকে জানে ও তাকে মহব্বত করে।
যে কেউ খোদার আজ্ঞা অমান্য করে সে নিজেকে বিপন্ন করে তোলে। সবচেয়ে পরম আনন্দ ঘটে তখনই যখন আমি খোদার কালাম মান্য করি, কেননা আমি জানি কেবল উত্তম বিষয়টিই তিনি আমার জন্য মনোনয়ন করে থাকেন।
লোকবলঃ ভাষ্যকার, আহাব, মিখা, গুপ্তচর
© Copyright: CEF Germany