Home -- Bengali -- Perform a PLAY -- 090 (The angry teacher 2)
90. ক্রুদ্ধ শিক্ষক-২
বাটুঃ ‘সাবাস রিঙ্গু, সাবাস! তুমিই তা পারবে।’
রিঙ্গু পা ভীষণভাবে জ্বালাতন করছে। তা সত্ত্বেও সাধ্যাতিত চেষ্টা চালিয়ে চলছে ষাঁড়ের দৌড়ে জিতবার জন্য। কোমরে দু’হাত দিয়ে রেখেছে, দ্রুত দৌড়ে যাচ্ছে, আর আশপাশ অনেক গাড়ি অতিক্রম করে পিছনে ফেলে দিল। অল্প ব্যবধান হলেও সে দৌড়ে জিতে প্রথম স্থান পেয়ে গিয়েছে।
বাটুঃ ‘সে জিতেছে! রিঙ্গু দৌড়ে জিতেছে!’
বাটু আনন্দে লাফাতে শুরু করে দিল। পিতাও তার বিজয়ে বেশ গর্বিত!
রিঙ্গু তাকিয়ে দেখলো তার ষাঁড়ের গলায় বিজয় মাল্য পরানো হয়েছে। সে সাহসের সাথে নিজের যন্ত্রনা সয়ে চলছে। বাড়িতে তার পায়ের অবস্থা মারাত্মক হয়ে পড়েছে। আর তা যন্ত্রনায় কাপতে লাগলো। রিঙ্গুর মাথা ব্যাথা ও জ্বর উঠে গেছে।
মাঃ ‘বারান্দায় শুয়ে পড়ো, রিঙ্গু। দেখ বিদেশি সাদা লোকটা ও পান্ডু এ গ্রামে আসছে।’
রিঙ্গুঃ ‘আমি তাকে চিনি। তিনি উত্তম খোদার বিষয়ে কথা বলে থাকেন, যে খোদা তার পুত্রকে এ দুনিয়ায় প্রেরণ করেছেন।’
সাহেব গ্রাবঃ ‘হ্যালো, কুয়োর পাশে আমরা কিছু ছবি দেখাবো, আপনারা আমন্ত্রিত। আপনারা কি আসছেন?’
মাঃ ‘আমি দুঃখিত, আমরা যেতে পারছিন। আমাদের পুত্র ভীষণ অসুস্থ। তন্ত্রমন্ত্রের ডাক্তার আমার পুত্রের কোনো কাজ আসে নি। আপনি কি আমাদের সাহায্য করবেন?’
অনেকেই দেখতে পেল, সেই বিদেশি লোকটা রিঙ্গুর পায়ের চিকিৎসা করেছে।
সাহেব গ্রাবঃ ‘অবশ্যই, আমি সাহায্য করতে পারবো। আমার দরকার একগামলা ফুটন্ত পানি। উক্ত পানিতে এই পাউডার ঢেলে দেব, ঔষধ পানির মধ্যে মিসে যাবে তারপর সহনশীল তাপমাত্রায় রিঙ্গু তার আক্রান্ত পা এই পানির মধ্যে ডুবিয়ে রাখবে। এই ঔষধ রিঙ্গুর পা সরিয়ে তুলবে।’
রিঙ্গুঃ ‘পুরোপুরি ডুবাতে হবে?’
সাহেব গ্রাবঃ ‘অবশ্যই। ভয় পেয়ো না। আমি তোমার জন্য প্রার্থনা করব, প্রভু মসিহ, তুমি সবকিছুই করতে পারো। অনুগ্রহ করে রিঙ্গুুর পা সারিয়ে সুস্থ করে তোলো আর এ পরিবারটিকে সুরক্ষা করো। আমিন!’
ডাক্তারি চিকিৎসা এবং প্রার্থনা উভয়ই রিঙ্গুকে দ্রুত সুস্থ করে তুললো। রিঙ্গু স্কুলে ফিরে গেল। মিশনারী সাহেব গ্রাব যে কাগজ তাকে দিয়েছিল তা সে স্কুলে নিয়ে গেল। তার শিক্ষকেরা তা আদৌ পছন্দ করতে পারলোনা।
শিক্ষকঃ ‘কি বাজে জিনিস নিয়ে এসেছো। এ কাগজে তো খোদা ও মসিহিদের কথায় ভরা। আমরা ভারত বর্ষের লোকজন এতে বিশ্বাস করি না। কারো কাছ থেকে এমন কাগজ কখনোই গ্রহণ করবে না। তুমি কি বিষয়টি বুঝতে পেরেছো?’
কাগজখানা তার হাতে নিয়ে এক কোনায় ছুড়ে মারলো। কিন্তু রিঙ্গু বড়ই চটপটে। ঐদিন সবার শেষে সে স্কুল থেকে বের হলো। তোমরা বুঝতে পারো সে তার পাগড়ির মধ্যে কি লুকিয়েছিলো।
রিঙ্গুঃ ‘বাটু, মসিহিদের খোদার বিষয়ে যদি আরো অধিক কথা শুনতে পারতমান তবে মজা হতো।’
বাটুঃ ‘তোমার শিক্ষক যা কিছু বলেছেন তা কি তুমি ভুলে গেছ? যদি তার কথা মান্য করে না চলো তবে মন্দ আত্মা তোমাকে গিলে খাবে।’
রিঙ্গুঃ ‘ঐ মন্দ আত্মা সাহেবকে তো গিলতে পারে নি। আমি এ কাগজটি সাথে রাখবো।’
বাটুঃ ‘আমি ভয় পাচ্ছি।’
এরপর মেহমান উক্ত ভারতীয় গ্রামে আসলেন। এ সকল বিষয়ে আমি সবিশেষ খুলে বর্ণনা দেব পরবর্তী নাটকে।
লোকবলঃ ভাষ্যকার, রিঙ্গু, বাটু, মা, সাহেব গ্রাব, শিক্ষক
© Copyright: CEF Germany